নেশনহান্ট ডেস্ক: একজন মহিলার কাছে তার মাথার চুল কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা একজন মহিলাই অনুভব করতে পারবেন। রাসমণি পাত্রও এক মহিলা। হয়ত তার কাছেও অন্যান্য নারীদের মতো চুল ছিল খুবই প্রিয়। কিন্তু প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে তিনি কামিয়ে ফেলেছেন তার মাথার চুল। তিনি একজন চাকরিপ্রার্থী।
প্রতিবাদ জানাতে একজন মহিলা যে নিজের মাথার চুল কামিয়ে ফেলতে পারেন সেটা অনেকের কাছেই কল্পনার অতীত। কিন্তু রাসমণি পেরেছেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে রাসমণি ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বলেছেন, অনেক দ্বন্দের মধ্যে দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে এই সিদ্ধান্তে আসার জন্য।
আরোও পড়ুন: PhD পড়ুয়ার কাঁধে রাম মন্দিরের পুজোর দায়িত্ব, হাজার হাজার মানুষের মধ্যে বেছে নেওয়া হল মোহিতকে! বেতন কত?
বহু রাত তিনি লড়াই করেছেন নিজের সাথেই। তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি কেটে ফেলবেন মাথার চুল। কিন্তু রাসমণির কাটা চুল দিয়ে কী হল? রাসমণি জানিয়েছেন, “এই চুল যাতে নষ্ট না হয় তাই আমি আমার সহযোদ্ধা ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসকে দিয়ে দিয়েছি। এই চুল কারোর কাজে লাগুক এটাই আমি চাই।”
আরোও পড়ুন : ক্লাস ফোরে পড়তেই ঋত্বিকের বাবা-মায়ের ডিভোর্স! একসময় সবজি বেচে সংসার চালিয়েছেন পর্দার ‘সোমরাজ’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সোমা দাস যোগদান করেছেন শিক্ষকতার চাকরিতে। তবে সোমা আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে শনিবার হাজির ছিলেন ধর্না মঞ্চে। সোমা বর্তমানে কর্মরত বীরভূমের নলহাটির মধুরা হাইস্কুলে। সোমা জানিয়েছেন, “যোগ্যরা সবাই চাকরি পাক এটাই আমি চাই। তাই নিজে চাকরি পাওয়ার পরও হাজির হয়েছিলাম এই প্রতিবাদ মঞ্চে।”
পাশাপাশি তিনি আরোও বলেন, “আমাকে রাসমণি ওর চুল দিয়েছে। আমি একজন ক্যান্সার আক্রান্ত। ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাদের কী যন্ত্রনা সেটা আমি অনুভব করতে পারি। একটি এনজিওর সাথে যুক্ত আমি। ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাদের জন্য এরা পরচুলা বানায়। রাসমণির চুল দান করা হবে সেখানেই। রাসমণির চুল অন্য কারোর শোভা বাড়াবে।”