দীঘা, পুরী তো অনেক হলো! সামান্য খরচে চলে যান লাল কাঁকড়ার দেশে, যেতে পারবেন ট্রেনে করেই

নেশনহান্ট ডেস্ক : গোটা বছর ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে শীতের সময়টার জন্য। শীত মানেই মিঠে রোদ গায়ে মেখে কয়েক দিনের জন্য হারিয়ে যাওয়া পছন্দের কোনো জায়গায়। শীতের কয়েকটা দিন আমরা অনেকেই ঘুরতে যেতে পছন্দ করি। আপনিও কি এই শীতে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি বিশেষভাবে আপনার জন্য।

আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন থাকে গোয়া যাওয়ার। কিন্তু গোয়া যাওয়া বেশ খরচ সাপেক্ষ একটি ব্যাপার। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে মিনি গোয়ার সন্ধান দিতে পারি। এখানে আপনারা অত্যন্ত কম খরচে কয়েকটা দিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন। এখানকার সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আপনার মনকে নিয়ে যাবে এক অনন্য উচ্চতায়। সমুদ্র প্রেমীদের কাছে এই জায়গাটি একেবারে আদর্শ।

আরোও পড়ুন : বজ্রপাতের সাথে তুমুল বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনাল আবহাওয়া দপ্তর

সমুদ্র সৈকতের কথা বললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে দীঘা কিংবা পুরীর ছবি। আজ আমরা আপনাদের দিতে চলেছি কলকাতার খুব কাছেই একটি নতুন সি-বিচের সন্ধান। শহরের দূষণ থেকে দু-তিন দিন একটু নিশ্চিন্তে এবার ছুটি কাটিয়ে আসুন যমুনাসুল (Jamunasul) থেকে।

আরোও পড়ুন : সাত সমুদ্র পারে হানিমুনে মজে পরম-পিয়া! ট্রোলিংকে বুড়ো আঙুল, নববধূকে নিয়ে কোথায় গেলেন অভিনেতা?

যমুনাসুল অবস্থিত উড়িষ্যায়। অনেক সময় উড়িষ্যার গোয়াও বলা হয়ে থাকে যমুনাসুলকে । এখানকার সৈকত একেবারে নিরিবিলি। এখানে রয়েছে ঘন ঝাউবন। সৈকতে ঘুরে বেড়ায় লাল কাঁকড়ার দল। সূর্যোদয় হোক কিংবা সূর্যাস্ত, দিনের প্রত্যেকটি সময় এখানকার সমুদ্রের রূপ আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকবে। এখানে রাত্রিবাসের জন্য রয়েছে কিছু রিসর্ট ও কটেজ।

এই নতুন সি-বিচে যেতে হলে আপনাকে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে নামতে হবে বাস্তা। ট্রেনে দু’ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় বাস্তা। স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে অটো। অটো করে পৌঁছে যেতে পারবেন যমুনাসুল। ৭০০-৮০০ টাকা ভাড়া লাগে অটোয়। গাড়িতে গেলে খরচ পড়বে ১০০০-১২০০ টাকা। স্টেশন থেকে গাড়িতে ৪৫ থেকে ১ ঘন্টা সময় লাগবে গন্তব্যে পৌঁছাতে।