নেশনহান্ট ডেস্ক : মানুষের ইচ্ছা শক্তি ও পরিশ্রম তাকে পৌঁছে দিতে পারে তার স্বপ্নের আঙিনায়। অতীতে আমরা এমন বহু উদাহরণ দেখেছি যেখানে মানুষ তার ইচ্ছা শক্তি ও পরিশ্রমের উপর ভর করে ছুঁতে পেরেছেন স্বপ্ন। ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তার জেদ ও অধ্যাবসার জোরে সৃষ্টি করলেন এক নতুন মাইল ফলক।
পেশায় নিরাপত্তারক্ষী ৫৫ বছর বয়সের রাজকরণ বড়ুয়ার (Rajkaran Barua) জীবন যেন কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য। রাজকরণ বড়ুয়ার বাড়ি মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে। রাজকরণ নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেন। এই কাজ থেকে তার মাসিক আয় মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। তবে ছোটবেলা থেকেই রাজকরণের অংকের প্রতি ছিল একটা গভীর ভালোবাসা।
আরোও পড়ুন : রেডি রাখুন কাঁথা, কম্বল! ফের ঠান্ডায় কাঁপবে দক্ষিণবঙ্গ, বড়সড় আপডেট হাওয়া অফিসের
অংক নিয়ে পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন রাজকরণ। তবে পেটের দায় তাকে করতে হত নিরাপত্তারক্ষীর কাজ। ডবল শিফটের ডিউটি করতেন তিনি। সারাদিনের হারভাঙা পরিশ্রমের মাঝেও ভোলেননি স্বপ্ন দেখা। নিজের ইচ্ছা শক্তির জোরে চালিয়ে গিয়েছেন বাস্তব ও স্বপ্নের সাথে যুদ্ধ। ২০০১ সাল থেকে পরপর ২৩ বার তিনি ফেল করেন। তবুও বিন্দুমাত্র দমেননি রাজকরণ।
আরোও পড়ুন : দিনমজুর থেকে হবু ডাক্তার! সারাদিনের হাড়ভাঙা খাটুনির পর বই পড়েই কপাল খুলল উমরের
রাজকরণ জানিয়েছেন, নিরাপত্তারক্ষীর কাজ থেকে যে বেতন পেতেন তার অধিকাংশই চলে যেত বই কিনতে। বই কেনা ও পরীক্ষার ফি বাবদ কয়েক বছরে তার দু লক্ষ টাকার কাছাকাছি খরচ হয়েছে। গর্বের সাথে রাজকরণ বলছেন, “এখন আমার কাছে অংকের এমএসসি ডিগ্রী রয়েছে। পঁচিশটা বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে তার জন্য। এতবার ব্যর্থ হওয়ার পরেও হাল ছেড়ে দিইনি।”
প্রসঙ্গত, রাজকরণ ২০২১ সালে উত্তীর্ণ হন পরীক্ষায়। এতদিন পর অবশেষে তিনি সেই কথা জানিয়েছেন প্রকাশ্যে। রাজকরণের এই সাফল্য সমাজে দুটি বার্তা প্রদান করে। প্রথমত, ইচ্ছা শক্তি থাকলে মানুষ যে কোনও অসম্ভবকেই সম্ভব করতে পারে, দ্বিতীয়ত, স্বপ্ন পূরণের জন্য বয়স অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় না কখনো।