১০০ কিমি বেগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলা বিশেষ অ্যালার্ট IMD’র

নেশনহান্ট ডেস্ক: দেশের একাধিক রাজ্যের এখন প্রধান চিন্তার কারণ ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক জায়গায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। পাশাপাশি সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আগামীকাল পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে।

গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে মিগজাউম। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে মায়ানমার। প্রত্যেকের মনে এখন একটাই প্রশ্ন যে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ কত হতে চলেছে? দেশের কোন কোন প্রান্তে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে সেটিও অনেকের কাছে কৌতূহলের বিষয়। তবে আবহাওয়া দপ্তর সুস্পষ্ট ভাবে এই ঘূর্ণিঝড়ের সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছে।

আরোও পড়ুন : ডিসেম্বর পড়তেই দাম বাড়ল LPG সিলিন্ডারের! চিন্তা বাড়ছে আমজনতার, কততে বিক্রি হবে কলকাতায় ?

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ ও সংলগ্ন তামিলনাড়ুতে পড়তে শুরু করবে ৪ ডিসেম্বর থেকে। উত্তাল হবে সমুদ্র। এই অঞ্চলগুলিতে তীব্র বেগে হাওয়া বইতে শুরু করবে ৪ তারিখ থেকে। একদিকে যেমন হাওয়ার গতিবেগ বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে বৃদ্ধি পাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল হবে সমুদ্র।

আরোও পড়ুন : নস্টালজিয়া, ফের বাংলা ছবিতে দেখা যাবে অমিতাভের এই বিখ্যাত নায়িকাকে! বড় চমক টলিউডের

সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের বলা হয়েছে যাতে তারা আপাতত সমুদ্রের মাছ ধরতে না যান। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার হতে পারে বলে জানা গেছে। এমনকি আশঙ্কা করা হচ্ছে এটি ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার গতিবেগেরও একটি ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।

weather t.jpg

তবে রিপোর্ট অনুযায়ী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব খুব একটা পড়বে না বাংলায়। যদিও আগামী মঙ্গল ও বুধবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং কলকাতা-সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে। অন্যদিকে গতকাল থেকে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্যের তাপমাত্রা। কলকাতার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরেই রয়েছে।