ভারতেও ঝড় তুলবে Tesla! মাস্কের সংস্থাকে দেশে আনতে প্রস্তুতি শুরু সরকারের, কবে মিলবে মঞ্জুরি?

নেশন হান্ট ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থা টেসলার (Tesla) ভারতে প্রবেশের প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারের তরফেও এক্ষেত্রে দ্রুত সবরকমের বাধা দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে ইলন মাস্কের (Elon Musk) কোম্পানি টেসলা খুব তাড়াতাড়ি দেশে আসবে। জানা গিয়েছে যে, সরকারি বিভাগগুলি ২০২৪-এর জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেওয়ার জন্য কাজ করছে। ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, টেসলার বিনিয়োগ প্রস্তাব সহ দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) উৎপাদনের পরবর্তী ধাপ পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সোমবার সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

বৈঠক হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে: তথ্য অনুসারে, একজন সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন যে, যদিও বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে সাধারণ নীতিগত বিষয়গুলিতে ফোকাস করা হয়েছিল, তবে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দেশে টেসলার প্রস্তাবিত বিনিয়োগের দ্রুত অনুমোদনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

When will Tesla "enter" the Indian market

জানিয়ে রাখি যে, গত জুনে আমেরিকা সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং টেসলার প্রধান ইলন মাস্কের মধ্যে বৈঠক হয়। এই বৈঠকের পর বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক সহ ভারী শিল্প ও ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাটি তাদের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুন: এখনই হন সতর্ক! এই কাজটি না করলেই বন্ধ হবে পেনশন, দুর্ভোগ এড়াতে এখনই নিন জেনে

টেসলা সাপ্লাই চেইন ইকোসিস্টেম আনতে আগ্রহ দেখিয়েছে: উল্লেখ্য যে, ২৬ জানুয়ারি অর্থাৎ আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। এই আবহে বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলার শীর্ষ আধিকারিকরা ভারতে গাড়ি এবং ব্যাটারি উৎপাদনের সুবিধা স্থাপনের জন্য সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। মূলত, টেসলা ভারতে তার সাপ্লাই চেইন ইকোসিস্টেম আনতে আগ্রহ দেখিয়েছে।

আরও পড়ুন: গাড়ি চালানোর আগে আজই ইনস্টল করুন Jio-র এই দুর্দান্ত ডিভাইস, ঘুম উড়বে চোরেদেরও

বড় সমস্যা আমদানি শুল্ক: জানিয়ে রাখি, টেসলা আগে সম্পূর্ণরূপে অ্যাসেম্বল বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর ৪০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের দাবি করেছিল। যেখানে বর্তমান হারে ৪০,০০০ ডলারের নিচের গাড়ির ওপর ৬০ শতাংশ এবং তার বেশি দামের গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক নেওয়া হয়।