নেশনহান্ট ডেস্ক : কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে গত কয়েকটি বিশ্বকাপ ম্যাচে বেশ কিছু নেতা মন্ত্রীকে দেখা গেছে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে। কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমও স্বস্ত্রীক দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন ইডেন গার্ডেন্সে। এমনকি বিশ্বকাপ ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন ‘লাভলি বয় ‘ মদন মিত্রও।
ফিরহাদ-মদনের একদা সতীর্থ পার্থ-জ্যোতিপ্রিয় জেলের বাইরে থাকলে হয়ত তারাও খেলা দেখতে যেতেন। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের এই মন্ত্রীরা এখন কারাবন্দি। প্রেসিডেন্সি জেলের পহেলা বাইশ ওয়ার্ডে এখন দিন কাটাচ্ছেন পার্থ, জ্যোতিপ্রিয়রা। জেলবন্দি রাজ্যের এই হেভিওয়েট নেতারা কি রবিবার প্রেসিডেন্সিতে বসে বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে পারবেন?
আরোও পড়ুন : হাই স্পিড ২৬৮ কিমি! দেখে নিন ভারতের দ্রুততম ইলেকট্রিক বাইকের ফার্স্ট লুক, ফিচার্স দেখলে মাথা ঘুরে যাবে
জেলের নিয়ম কী বলছে? পার্থ, বালুর পাশাপাশি একই ওয়ার্ডে বন্দি রয়েছেন পলাশিপাড়া ও বড়ঞার দুই তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য ও জীবনকৃষ্ণ সাহা। অনেকেই মজা করে প্রেসিডেন্সির ২২ নম্বর সেলকে এমএলএ ব্লক বলছেন। রবিবার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে কি খেলা দেখার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট নেতারা?
আরোও পড়ুন : সারাবছরই থাকে প্রচুর চাহিদা! মাত্র ১০ হাজার টাকায় শুরু করুন এই ব্যবসা, কয়েক মাসেই হবে বিরাট লাভ
প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, টেলিভিশন রয়েছে জেলের প্রতিটি ওয়ার্ডে। বন্দিরা ওখানেই টিভি দেখেন। এই ব্যাপারে নতুনত্ব কিছু নেই। জ্যোতিপ্রিয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা চাইলে খেলা দেখতেই পারেন সেখানে। ব্যক্তি বিশেষে আলাদা কোনও নিয়ম নেই সেখানে। তবে রাত ন’টার পর টেলিভিশনের শব্দ সম্পূর্ণভাবে কমিয়ে দিতে হয়। আওয়াজ করা যায়না।
বিশ্বকাপের প্রত্যেকটি ম্যাচই ভারতীয় সময় অনুযায়ী দিন ও রাতের সময় হয়েছে। খেলা শুরু হয়েছে বেলা ২টা। খেলা শেষ হতে অন্তত রাত সাড়ে দশটা বেজে গেছে। রবিবার দুপুর দুটো থেকে শুরু হবে ফাইনাল ম্যাচ। যদি খেলা রাত সাড়ে নটার বেশি সময় ধরে হয় তাহলে উত্তেজনা প্রশমিত করতে হবে পার্থ, বালু, মানিক, জীবনকে। ভারত জিতলেও সারা শব্দ করা যাবে না।