নেশনহান্ট ডেস্ক : জটায়ু থাকলে হয়ত বলতেন, ‘ জ্বালায় জ্যোতিপ্রিয়!’ তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে কতটা জ্বলছেন আর ইডি আধিকারিকরাই বা কতটা জ্বলছেন তাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। আজ ফের একবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন জ্যোতিপ্রিয়। রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী গতকাল রাতে জেলেই অসুস্থ বোধ করেন।
সূত্রের খবর, কাশি হচ্ছিল প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর। তারসাথে ছিল শ্বাসকষ্টও। এরপর জেলেই ৫ মিনিটের জন্য অক্সিজেন দেওয়া হয় তাঁকে। তারপর খানিকটা সুস্থ বোধ করেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হাই ডায়াবেটিকের রোগী। গ্রেপ্তারের পর আদালতে পেশের দিন তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন এজলাসে। এমনকি তাঁর মুখ থেকে গ্যাঁজলাও ওঠে সেদিন।
এরপর তাঁর ইডি হেফাজত হয়। ইডি হেফাজত শেষ হলে আদালত তাঁকে জেলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এই আবহে গতকাল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আদালতে জানান তিনি অসুস্থ। তাই হাসপাতালে যেতে চান। কিন্তু আদালত সেই অনুরোধ খারিজ করে দিয়ে পুনরায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
আরোও পড়ুন : দুর্দান্ত খবর! প্রায় ২০০ স্পেশ্যাল ট্রেন শিয়ালদা-হাওড়া রুটে, পুজোর আবহে বড়সড় আপডেট রেলের
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ইডি আদালতে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের রিপোর্ট জমা দেয়। এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সব জানতেন দুর্নীতির ব্যাপারে। এছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থা তাদের রিপোর্টে আদালতকে জানিয়েছে যে এই দুর্নীতির সাথে আর কারা কারা যুক্ত সেই বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।
আরোও পড়ুন : ছিল ১০ হাজার টাকার দোকান, আজ ৩২ হাজার কোটির ব্যবসা! সারা ভারতে নামডাক কলকাতার এই ব্যবসায়ীর
ইডি সূত্রে খবর, জেরায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক স্বীকার করেছেন তিনি খাদ্যমন্ত্রী থাকার সময় প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছিল রেশন দুর্নীতি নিয়ে। আদালত এই ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে এই ব্যাপারে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয়েছিল থানায়।
তাই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি খাদ্য দপ্তর। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পর্যবেক্ষণ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মূলত ঢাল করতে চাইছেন এই এফআইআর-কে। শুধুমাত্র ‘লোক দেখানো’ তদন্ত হয়েছে থানায় এফআইআর করা অভিযোগের। তবে, বালুকে নিয়ে বঙ্গ রাজনীতি যে সরব তা বলাই বাহুল্য।