নেশনহান্ট ডেস্ক : শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার জন্য প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে স্তরে অভিন্ন বই ও পাঠক্রম থাকবে গোটা রাজ্য জুড়ে। রাজ্য সরকার গোটা রাজ্য জুড়েই অভিন্ন বই ও সিলেবাস তৈরি করতে তৎপর হয়েছে। বর্তমানে এই দুটি বিষয়ই পড়ানো হয় রাজ্যের (West Bengal) প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে।
কিন্তু এই দুটি বিষয়ের নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম বা বই এতদিন পর্যন্ত চালু ছিল না পশ্চিমবঙ্গে। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পর্যবেক্ষণ এর ফলে বিভিন্ন স্কুলের পঠন-পাঠনের মধ্যে থাকছে না সাযুজ্য। তাই এই বিষয়টি নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দপ্তর। রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর এবার তৎপর হয়েছে এই দুটি বিষয় নিয়ে অভিন্ন পাঠ্যক্রম ও বই তৈরির ক্ষেত্রে।
আরোও পড়ুন : মাস গেলে মিলবে মোটা মাইনে, মাধ্যমিক পাশেই হবে বাজিমাত! প্রচুর কর্মী নিয়োগ এবার পোস্ট অফিসে
দপ্তরের পরামর্শদাতা কমিটির সভাপতি উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, অভিন্ন পাঠ্যক্রম না থাকার ফলে বহুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। বিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনার এই বিষয়টি নিয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অভিন্ন পাঠ্যক্রম ও বই তৈরীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিকস্তরে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত কম্পালসারি সাবজেক্ট ছিল শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা।
আরোও পড়ুন : চান্দু-নিজাম-মমতাজরাই পুজোর মাথা! জলপাইগুড়ির এই শ্মশানকালী আরাধনা দেয় এক বিশেষ বার্তা
প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৩৪ বাদ দেওয়া হত কোনও পরীক্ষার্থী যদি এই দুটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতেন। তারপর যুক্ত করা হত বাকি নম্বর। স্কুল শিক্ষা দপ্তর পাঠ্যক্রম পড়ানো বন্ধ করে দেয় পাঠ্যক্রমের আধুনিকীকরণের এই দুই সাবজেক্ট। মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো বন্ধ হলেও এই দুটি বিষয় বাধ্যতামূলক ছিল প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে। এই দুটি বিষয় এখনো বাধ্যতামূলক সাবজেক্ট হিসেবে পড়ানো হয়।
পাঠ্যক্রমের আধুনিকীকরণের পর পরিবর্তন আসে বিষয়ের ক্ষেত্রে। শারীরশিক্ষার সাথে যুক্ত হয় স্বাস্থ্য শব্দ। এরপর নতুন নাম দেওয়া হয় স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা। আর্ট এডুকেশনের উপর নতুন বিষয় তৈরি করে নাম দেওয়া হয় ‘আর্ট এবং ওয়ার্ক এডুকেশন’। নামকরণ পর্যন্ত ব্যবস্থা থাকলেও শিক্ষা দপ্তর এই বিষয়গুলির নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম বা বই তৈরি করেনি তারপর।