নেশন হান্ট ডেস্ক: চাঁদের (Moon) মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করে বিরাট নজির স্থাপন করেছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে ইতিহাসও। এছাড়াও, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এর মাধ্যমে ISRO (Indian Space Research Organisation)-র হাত ধরে মহাকাশ মিশনের ক্ষেত্রে ভারত অন্যতম স্থানও অর্জন করে ফেলেছে।
এদিকে, চাঁদের মাটিতে অবতরণের পরেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। পাশাপাশি, সেই সংক্রান্ত তথ্যও পৃথিবীতে পাঠিয়েছে তারা। এমতাবস্থায়, এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই আরও একটি ক্ষেত্রে সাফল্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে চন্দ্রযান-৩ মিশন। যা প্রত্যক্ষভাবে ভবিষ্যতের মহাকাশ মিশনের ছবিটাই পরিবর্তন করে দিতে পারে।
এই প্রসঙ্গে দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আধিকারিকরা জানিয়েছেন চন্দ্রযান-৩ মিশনে ব্যবহার করা হয়েছিল নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি। আর তাতেই এসেছে সাফল্য। এক আধিকারিকের মতে, এই প্রথমবার এইরকম বড় কোনো প্রজেক্টের জন্য ISRO-র সাথে হাত মিলিয়েছে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার।
আরও পড়ুন: বিদেশের প্রযুক্তিকে চ্যালেঞ্জ! ১২ হাজার হর্স পাওয়ারের রেল ইঞ্জিন তৈরি করে তাক লাগাল চিত্তরঞ্জন
মূলত, চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রপালশন মডিউলে দু’টি “রেডিয়ো আইসোটোপ ইউনিট” যুক্ত করা হয়েছিল। যার লক্ষ্য ছিল চন্দ্রযান-৩ মিশন কিভাবে কাজ করে, তা যাচাই করে দেখা। এদিকে, ওই প্রপালশন মডিউল চাঁদের চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই “রেডিয়ো আইসোটোপ ইউনিট”-টি একেবারে সঠিক এবং নিখুঁতভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ভারতের প্ৰথম স্কুল কোনটি? ৯৯ শতাংশ ব্যক্তি জানেন না এই উত্তর
পাশাপাশি, ওই “রেডিয়ো আইসোটোপ ইউনিট”-টি মহাকাশযানের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও, চন্দ্রযান-৩ মিশনের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের ক্ষেত্রে অবশ্য “রেডিয়ো আইসোটোপ ইউনিট” যুক্ত করা হয়নি। এর পেছনের কারণও সামনে এসেছে। ISRO-র আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানে “রেডিয়ো আইসোটোপ ইউনিট” যুক্ত করলে সেগুলির ওজন অনেকটাই বেড়ে যেত। আর ওই কারণেই “রেডিয়ো আইসোটোপ ইউনিট” যুক্ত করা হয়নি।
এদিকে, ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর পি বীরামুথুভেল জানিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে রোভারের ক্ষেত্রে এরকম পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। অর্থাৎ, আগামীদিনে রোভারে “রেডিয়ো আইসোটোপ ইউনিট” ব্যবহার করা হবে বলেই অনুমান করছেন আধিকারিকরা।