নেশন হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার টাটা টেকের আইপিও (Tata Tech IPO) আসতে চলেছে। এই আইপিওটির জন্য গত কয়েক মাস ধরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা চলছিল। তবে, এবার এর তারিখ সামনে এসেছে। উল্লেখ্য যে, টাটা গ্রুপ ২০ বছর পর একটি আইপিও চালু করছে। জানা গিয়েছে, টাটা টেকের আইপিও সাবস্ক্রিপশনের জন্য আগামী ২২ নভেম্বর খোলা হবে এবং এর জন্য ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত বিড করা যাবে। এই সম্পূর্ণ আইপিও অফার ফর সেল (OFS)-এর অধীনে আসবে।
অর্থাৎ, এর মানে হল এই আইপিওতে নতুন কোনো ইস্যু থাকবে না। আইপিও-র মাধ্যমে তিনজন শেয়ারহোল্ডার তাদের কিছু শেয়ার বিক্রি করবেন। এর আগে আইপিওতে ৯.৫৭ কোটি শেয়ার বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৬.০৮ কোটিতে। যার কারণে, সম্ভবত এটি আর ভারতের সবচেয়ে বড় আইপিও হবে না। তবে, কোম্পানিটি এখনও প্রাইস ব্যান্ড সম্পর্কে কোনো তথ্য শেয়ার করেনি। এমতাবস্থায়, প্রাইস ব্যান্ড ঘোষণা হলেই ছবিটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কে কত শেয়ার বিক্রি করবে: অফার ফর সেলের মাধ্যমে, টাটা মোটরস ৪৬,২৭৫,০০০, Alpha TC Holding Private Limited ৯,৭১৬,৮৫৩ এবং Tata Capital Growth ফান্ড I দ্বারা ৪,৮৫৮,৪২৫ শেয়ার অফলোড করবে। এটি তাদের শেয়ারের যথাক্রমে ১১.৪১ শতাংশ, ২.৪০ শতাংশ এবং ১.২০ শতাংশ হবে। এদিকে, অফার ফর সেলের ১০ শতাংশ টাটা টেক এবং টাটা মোটরসের কর্মীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। জানিয়ে রাখি যে, টাটা টেক গত মার্চ মাসে SEBI-র কাছে এই IPO সংক্রান্ত প্রাথমিক নথি (DRHP) জমা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! এই অভ্যাসগুলি ত্যাগ না করলেই পড়বেন মা লক্ষ্মীর কোপে, কি বলছে চাণক্য নীতি?
টাটা টেক: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টাটা টেকনোলজি টাটা মোটরসের মালিকানাধীন একটি সংস্থা। এই কোম্পানিটি অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্সকে (OEM) প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজিটাল সলিউশন প্রদান করে। এর ক্লায়েন্টদের মধ্যে রয়েছে জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার এবং এয়ারবাস এসই-র মতো কোম্পানি। জানিয়ে রাখি যে, জাগুয়ার ল্যান্ড রোভারও টাটা গ্রুপের একটি কোম্পানি।
আরও পড়ুন: হার মানবে পাওয়ার ব্যাঙ্কও! একবার চার্জ দিলেই চলবে ৭৫ দিন, এই ফোনের ফিচার্স এবং দাম চমকে দেবে
সংস্থাটির আর্থিক অবস্থা: এদিকে, এই সংস্থার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানাতে গেলে বলতে হয়, ২০২৩-এর অর্থবর্ষে এই সংস্থার লাভ এবং রেভিনিউ উভয়ই ২০২২-এর অর্থবর্ষের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। তবে, এই কোম্পানির কোনো ঋণ নেই। যার ফলে এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি পছন্দের বিনিয়োগের বিকল্প করে তুলবে। পাশাপাশি, ২০২৩ অর্থবর্ষে কোম্পানির রেভিনিউর পরিমাণ হল ৪,৪১৮ কোটি টাকা এবং মুনাফা হল ৭০৮ কোটি টাকা।