নেশনহান্ট ডেস্ক : আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে থাকে স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন সত্যি করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছি। কিন্তু সমাজে এমন কিছু মানুষ থাকেন যারা শুধু নিজেদের নয়, সমাজের স্বপ্ন সত্যি করার তাগিদ অনুভব করেন। এইরকমই একজন আইএএস হলেন ৩০ বছর বয়সী নবীন। নবীনের যখন মাত্র একুশ বছর বয়স তখন তিনি একটি গ্রাম দত্তক নেন।
নবীনের দৃঢ়তা ও সংকল্পের জন্য তাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মনোনীত করে নৌগড় তহসিলের উন্নয়ন দপ্তর। একটি মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য নবীন সেখানে বেশ কয়েক মাস বসবাসও করেন। গাজীপুর জেলার বীরপুর গ্রামে নিজের জীবন শুরু করেছিলেন তরুণ এই আইএএস। নবীন যখন বি-টেক পড়ছিলেন তখন থেকেই তিনি সমাজসেবার কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন।
আরোও পড়ুন : রিপোর্ট গেল আদালতে! বন্ধ বাড়ির খাবার, এবার জেলের ভাতই খাবে বালু, কিন্তু কী এমন ঘটল ?
গোরখপুরের তৎকালীন ডিএম, আইএএস রঞ্জন কুমারের নির্দেশে ২০১৫ সালে তিনি গোরখপুর জেলার গ্রামীণ এলাকায় যুব সম্প্রদায়ের জন্য আয়োজন করেন গ্রামীণ যুব নেতৃত্ব কর্মসূচি। গ্রামের যুবকদের নেতৃত্বের ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই ছিল এই কর্মসূচির লক্ষ্য। এই সময় নবীন গোরখপুরের তৎকালীন কমিশনার পি গুরুপ্রসাদের সাথে দত্তক নেন খোরাবার ব্লকের মতিরাম আড্ডা গ্রামকে।
আরোও পড়ুন : বছরে খরচ মাত্র ৪৩৬ টাকা, মিলবে ৪ লাখ! দুর্দান্ত স্কিম কেন্দ্রের, বিনিয়োগ করলেই জীবনভর টেনশন ফ্রি
সেই থেকে নবীন এই গ্রামের মানুষদের সচেতন করছেন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে। ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডিগ্রি নেই নবীনের। তবে এই বিষয়ে তার দক্ষতা এতটাই যে তাকে বিভিন্ন রাজ্যের আধাসামরিক বাহিনী, পুলিশ, প্রশাসনিক এবং বিচার বিভাগীয় পরিষেবা প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমিতে অফিসার এবং বিচারকদের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর শিক্ষাদানের জন্য ডাকা হয়।
আইআরএস, রাজ্য পুলিশ, প্রশাসনিক পরিষেবা এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্সের অসংখ্য অফিসার এবং বিচারকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন নবীন। উত্তরপ্রদেশের চান্দৌলি জেলার সরকারি স্কুলে শিক্ষকদের রুটিন মাফিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নবীন চালু করেন “অ্যাটেন্ডেন্স উইথ সেলফি” প্রোগ্রাম। ২০১৭ সালে প্রায় ১৫০০ স্কুলে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছিলেন নবীন।