নেশন হান্ট ডেস্ক: বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজন যুবতীর প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি একদম অল্প বয়সেই একটি বিখ্যাত কোম্পানির দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি হলেন নাদিয়া চৌহান (Nadia Chauhan)। তাঁর জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায় (California) হলেও তিনি বড় হয়েছেন মুম্বাইয়ে (Mumbai)। তাঁর পিতার নাম প্রকাশ চৌহান। যিনি পার্লে অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ছিলেন। নাদিয়ার দু’জন দিদি রয়েছেন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নাদিয়ার বয়স যখন মাত্র ১৭ বছর ছিল তখন তাঁকে পার্লে অ্যাগ্রোর চিফ মার্কেটিং অফিসার করা হয়। তবে, এত কম বয়সে এত বড় দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি অধিকাংশজনকেই অবাক করলেও নাদিয়ার রক্তে ব্যবসা ছিল। পাশাপাশি, তিনি তা প্রমাণ করেও দেখিয়েছেন।
নাদিয়া যখন অফিসিয়ালি তাঁর দায়িত্ব নেন, তখন কোম্পানিটি শুধুমাত্র ফ্রুটি তৈরি করত। পাশাপাশি, তখন কোম্পানির টার্নওভার ছিল ৩০০ কোটি টাকা। পার্লে অ্যাগ্রোর আয়ের ৯৫ শতাংশ আসতো শুধুমাত্র ফ্রুটি থেকেই। তিনি প্রথম যে বিষয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করেছিলেন তা হল এর প্যাকেজিং পরিবর্তন করা। যে প্যাকেটটি আগে সবুজ রঙের ছিল তা পাকা আমের রঙের মতো পরিবর্তন করে করা হয় হলুদ। আর এই ধারণাটিই সুপারহিট হয়। এরপর তিনি ফ্রুটির বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনেন। প্রথমে ফ্রুটি শুধুমাত্র শিশুদের কথা মাথায় রেখে বিজ্ঞাপন তৈরি করলেও এখন সব বয়সীর ক্রেতাদেরকে টার্গেট করেই বিজ্ঞাপন তৈরি করা হচ্ছে। এটিও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বৃদ্ধি এনেছে।
আয়ের নতুন উৎস: এদিকে, নাদিয়া অনুভব করেছিলেন যে, কোম্পানিটি শুধুমাত্র ফ্রুটির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল রয়েছে। এমতাবস্থায়, কিছু ভুল হলে কোম্পানির কোনো ব্যাকআপ সেভাবে নেই। তাই ফ্রুটি ছাড়াও কোম্পানিটি এখন বোতলজাত পানীয় জল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এইভাবেই তৈরি হয় “Bailley”।
তবে, এখানেই থেমে থাকেননি নাদিয়া। তিনি একটি নতুন সফট ড্রিঙ্ক বিক্রির ক্ষেত্রেও অগ্রসর হন। আমের পর, তিনি আপেল থেকে তৈরি পানীয় অ্যাপি ফিজ চালু করেন। ফিজের ব্র্যান্ডিং, প্যাকেজিং এবং মার্কেটিং সবই শীর্ষে ছিল এবং এই পণ্যটি বাজারে সুপারহিট হয়। ফিজ ২০০৫ সালে চালু হয়েছিল। আজ এই পানীয়টি বাজারে নিজেকে উজ্জ্বলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আরও পড়ুন: ফের বাড়বে Jio-র প্ল্যানের খরচ? উৎসবের মরশুমেই গ্রাহকদেরকে বড় আপডেট দিল সংস্থা
৮,০০০ কোটি টাকার ব্যবসা: জানিয়ে রাখি যে, পার্লে অ্যাগ্রোর ব্যবসা ২০২২-২৩ সালে ৮,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। ফ্রুটির রেভিনিউ প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, কিন্তু ওভারঅল রেভিনিউয়ের ক্ষেত্রে এটি কিছুটা নেমে মোট অংশীদারিত্ব ৪৮ শতাংশে রয়েছে। অর্থাৎ ফ্রুটি থেকে কোম্পানির আয় বাড়লেও এর ওপর নির্ভরশীলতা কমেছে। আজ নাদিয়া কোম্পানির জয়েন্ট ডিরেক্টরও। তাঁর লক্ষ্য হল সংস্থাটিকে ২০৩০ সালের মধ্যে ২০,০০০ কোটি টাকার টার্নওভার বিশিষ্ট সংস্থায় পরিণত করা।