নেশনহান্ট ডেস্ক : সেভিংস অ্যাকাউন্ট কথাটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। নিয়মিত লেনদেনের জন্য সেভিংস অ্যাকাউন্ট বিশেষভাবে কাজে লাগে। পাশাপাশি, বেতনভোগীরা অর্থ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও সবসময় ভরসা রাখেন সেভিংস অ্যাকাউন্টের উপর। বিশেষ করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলেন বহু মানুষ।
আর তাই জন্য এসবিআই(SBI) কোনরকমের কোন কিছু পরিবর্তন আনলে চিন্তায় পড়ে যান গ্রাহকেরা। তবে এই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে গ্রাহকদের জন্য সেভিংস অ্যাকাউন্টে এমন কিছু অফার থাকে যেগুলো অন্যান্য ব্যাঙ্কের তরফ থেকে পাওয়া যায় না। চলুন তাহলে এই অ্যাকাউন্টগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
১) বেসিক সেভিংস অ্যাকাউন্ট: আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষরা সাধারণত এই অ্যাকাউন্ট করে থাকেন। কেওয়াইসি এ জমা করে খুব সহজে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। চেকের বিশেষ ব্যবস্থা না থাকলেও ডেবিট কার্ড রয়েছে। এই অ্যাকাউন্ট থাকলে গ্রাহকদের ন্যূনতম ব্যালেন্স মেইনটেইন করতে হয় না।
আরোও পড়ুন : আবারও প্রথম তিনে ঠাঁই হল না ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র! Star নাকি Zee, এগিয়ে কে? দেখুন TRP তালিকা
২) স্মল সেভিংস অ্যাকাউন্ট : ১৮ বছরের মধ্যে বৈধ কেওয়াইসি ছাড়াও এই অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। তবে যেহেতু বৈধ কেওয়াইসি থাকে না তাই জন্য এই অ্যাকাউন্ট চালানোর ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ডেবিট কার্ডের সুবিধা মিলবে। পাশাপাশি আপনি এই অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে নূন্যতম ব্যালেন্সের প্রয়োজন নেই।
৩) রেগুলার সেভিংস একাউন্ট– কেওয়াইসি সহ সমস্ত ধরনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ব্যাংকে জমা দিতে হয়। এই একাউন্ট থেকে গ্রাহকেরা সব ধরনের সুবিধা নিতে পারেন। বেশি মানুষ এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন। এক্ষেত্রেও গ্রাহকদের মিনিমাম ব্যালেন্স মেইনটেইন করতে হয় না।
আরোও পড়ুন : মারণ রোগে আক্রান্ত বন্ধু! নিজের ঘরেই বিশ্বের সবচেয়ে দামি মশলা বানিয়ে তাক লাগাল এই বঙ্গসন্তান
৪) সেভিংস অ্যাকাউন্টস ফর মাইনর্স- পড়ুয়াদের জন্য আছে এই বিশেষ অ্যাকাউন্ট। এখানেও মিনিমাম ব্যালেন্স মেইনটেইন করতে হয় না। পেহেলা কদম, পেহেলি উড়ানের মত বেশ কয়েকটি ভাগ আছে। সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাখা যেতে পারে এই অ্যাকাউন্টে। তবে এই টাকা থেকে দৈনিক খরচ করার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ২০০০ টাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
৫) সেভিংস প্লাস একাউন্ট– আপনি অ্যাকাউন্টের ন্যূনতম একটি ব্যালেন্স বেছে রাখতে পারেন এবং সেই ব্যালেন্স যখনই পার হয়ে যাবে তখন এটি ফিক্সড ডিপোজিটে রূপান্তরিত হবে। এটা থেকে আপনি বাড়তি সুদ পাবেন। আপনি চাইলে প্রয়োজনীয় টাকা খুব সহজে তুলে নিতে পারেন। এক থেকে পাঁচ বছরের জন্য এই একাউন্টে অর্থ বিনিয়োগ করা যায়।