বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুজো বাঙালির কাছে সাধারণ একটা উৎসব শুধু নয়, দুর্গাপূজা মানে বাঙালির আবেগ, বাঙালির ভালোবাসা। গোটা বছর গোটা বাংলা অপেক্ষা করে থাকে এই দুর্গোৎসবের জন্য। পুজোর কটা দিন বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের লোকেদের সাথে নতুন জামা কাপড় পড়ে প্যান্ডেল হপিংয়ের মজাই আলাদা।
এ বছর যে পরিসংখ্যান উঠে আসছে তাতে বাঙালি যে রেস্তোরাঁয় বসে খেতে বেশি পছন্দ করছেন সেটার একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইন যুগে অনেকেই খাবার বাড়িতে অর্ডার করে নেন। কিন্তু এ বছর পুজোয় চিত্রটা বেশ খানিকটা অন্যরকম ছিল। মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরোও পড়ুন : এবার মাত্র ৫ দিন গেট খুলবে ব্যাঙ্কের! বাড়বে ছুটি, বেতনও; দিপাবলীর আগেই বড় খবর
চ্যাপ্টার টু এবং আউধ 1590-এর মতো রেস্তোরাঁ চেইনের মালিক সংস্থা প্ল্যাটার হসপিট্যালিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর শিলাদিত্য চৌধুরি জানাচ্ছেন, “এবছর অনেকটাই কম বিক্রি হয়েছে এগ্রিগেটর সেলস, অর্থাৎ স্যুইগি ও জোম্যাটোর মাধ্যমে। অধিকাংশ গ্রাহক রেস্তোরাঁয় বসে খেয়েছেন।’
আরোও পড়ুন : আবহাওয়া চোখ পাল্টি, শীত কাটিয়ে ফিরছে বৃষ্টি! দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা ভাসার সম্ভাবনা
সিরাজ গোল্ডেন রেস্তোরাঁর কর্ণধার ইশতিয়াক আহমেদ বলছেন, “গত বছরের তুলনায় সার্বিক ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বিক্রি। রাত জেগে মানুষ ঠাকুর দেখেছেন এবং খেয়েছেন। অনলাইন বিক্রি অন্যান্য বারের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে। ডাইন-ইন থেকে মোট বিক্রির ৭০ শতাংশ এবার পুজোয় এসেছে। তবে সব থেকে নজরকারা বিষয় এবছর রাত ১১ টার পর গ্রাহক বেড়েছে রেস্তোরাঁয়।”
হোটেল অ্যান্ড রেস্টুর্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (এইচআরএইআই) বলছে, গত বছরের পুজোর ছয় দিনের তুলনায় এবছর ২০ শতাংশ বেশি ব্যবসা দেখেছে হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলি।এইচআরএইআই-এর সভাপতি সুদেশ পোদ্দার বলেন, কোভিডের পর এ বছর ছিল দ্বিতীয় পুজো। রেস্তোরাঁগুলিতে ভিড় লেগেছিল রাত তিনটে পর্যন্ত।