লক্ষ্মীপুজো আর পাঁচালি, এ যেন একে অপরের সমার্থক! জানেন, কেন এই পাঠ করা হয়?

নেশনহান্ট ডেস্ক : হিন্দু শাস্ত্রে লক্ষ্মী দেবীকে সুখ-শান্তি-সম্পদের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। মনে করা হয় লক্ষী দেবীর আরাধনা করলে সংসারে অর্থের অভাব হয় না। কিন্তু লক্ষ্মী পাঁচালী পাঠ ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না লক্ষ্মীপুজো। এবছর কোজাগরি লক্ষ্মীপুজো পালিত হচ্ছে ২৮ শে অক্টোবর। ভক্তি ভরে দেবীকে ডাকলে ভক্তের ডাকে সাড়া না দিয়ে পারেন না ভগবান।

কিন্তু প্রত্যেক পুজোর কিছু নিয়ম ও নীতি থাকে। নিয়ম অনুযায়ী পুজো করলে ভক্তের উপর প্রসন্ন হন ভগবান। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর (Laxmipuja) এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি হচ্ছে পাঁচালী পাঠ। লক্ষ্মী পাঁচালী পাঠ করা হয় লক্ষ্মীপুজোর শেষে। পুজোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি। পাঁচালী পাঠ করলে ভক্তের উপর প্রসন্ন হন দেবী লক্ষ্মী।

আরোও পড়ুন : লক্ষ্মীপুজোর দিনে ভুলেও করবেন না এই ৫ টি কাজ! নাহলেই দেবী হবেন রুষ্ট, পড়বেন বড় বিপদে

লক্ষ্মী দেবীর আহবান মন্ত্র উচ্চারণ করার পর মায়ের ঘটে বা চরণে পুষ্প নিবেদন করে শুরু হয় পুজো। পাঁচালী পাঠ করতে হয় হাতে ফুল নিয়ে। সবশেষে শঙ্খ বাজিয়ে মায়ের কাছে জানাতে হয় মনের প্রার্থনা। মনে করা হয় সব ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় লক্ষ্মী পাঁচালী পাঠ করলে। চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতি ঘটে থাকে লক্ষ্মী পাঁচালী পাঠ করলে। 

বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় লক্ষ্মী পাঁচালী পাঠে। লক্ষ্মী পাঁচালী পাঠ করলে মুক্তি পাওয়া যায় ঋণ থেকে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী যে বাড়িতে নিয়মিত লক্ষ্মী পাঁচালী পাঠ করা হয় সে বাড়িতে অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। সর্বোপরি লক্ষী দেবী আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য লক্ষী দেবীর পাঁচালী পাঠ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।