নেশনহান্ট ডেস্ক : ছাতনা-মুকুটমণিপুর (Chatna Mukutmanipur) রেলপথ (Railway Track) কবে চালু হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন অনেকের মনেই রয়েছে। এই রেল প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে গত ১৫ বছর ধরে। জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হলেও রেলপথ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়নি। প্রায় ১৩ বছর আগেই এই রেলপথের জন্য প্রয়োজনীয় জমির ৭০ শতাংশ অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছিল।
বেশ কিছুটা জমি ভরাটও হয়েছিল। কিন্তু এখনো একবিন্দু কাজ হয়নি এই রেল প্রকল্পের। রেলের স্থায়ী কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাসুদেব আচারিয়ার স্বপ্নের প্রকল্প ছিল ছাতনা-মুকুটমণিপুর রেলপথ। তাঁর উদ্যোগে এই রেলপথের কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে বাঁকুড়া-মুকুটমণিপুর (ভায়া ছাতনা) রেলপথ স্থাপন আন্দোলন কমিটি খাতড়ার এবিটিএ হলে গণ কনভেনশনের ডাক দেয় গত শনিবার।
আরোও পড়ুন : আমেরিকা-ইউরোপ থেকে ভারতে ফেরার হিড়িক! হঠাৎ কী হল উদ্যোক্তাদের ?
কেন বছরের পর বছর ধরে জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা রেলপথ থেকে বঞ্চিত হবেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এই কমিটি। দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে রেলপথ চালুর দাবি তুলেছেন। সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি শনিবার এই কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন।
আরোও পড়ুন : মৃত্যুবার্ষিকীতে ঐন্দ্রিলাকে স্মরণ সৌরভের! আদরের মিষ্টিকে নিয়ে যা যা বললেন অভিনেতা, চোখে জল আসবে
তিনি বলেন, “ছাতনা-মুকুটমণিপুর রেল প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের দলের নেতা বাসুদেব আচারিয়া বিশেষ উদ্যোগ নেন। জমি অধিগ্রহণের কাজও সেই সময় শেষ হয়। কিছু জায়গায় জমি অধিগ্রহণে সমস্যা ছিল। তবে সেই সমস্যা দূর করা বিশেষ কোনো ব্যাপার ছিল না। কিন্তু এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সময়। এই রেল প্রকল্প নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি কেন্দ্র ও রাজ্য।”
বাঁকুড়া-মুকুটমণিপুর রেলপথ স্থাপন আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক মধুসূদন মাহাতো অন্যদিকে দাবি করেছেন, “বাসুদেব বাবু ২০১৪ সালে পরাজিত হওয়ার পর আটকে গেছে এই রেল প্রকল্পের কাজ। প্রতিবছর রেলের পক্ষ থেকে মাত্র ১০০০ টাকা করে বরাদ্দ করে এই প্রকল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারের দায়িত্ব জমি অধিগ্রহণ করার। ৮০ শতাংশ সম্পূর্ণ হলেও বাকিটা হচ্ছে না।”