নেশনহান্ট ডেস্ক : নৈহাটির অরবিন্দ রোডের বড়মার মন্দির ভক্তদের কাছে সুপরিচিত একটি তীর্থস্থান। এই মন্দিরের কালীপুজোর কথা দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছেছে বিদেশের মাটিতে। বাংলার প্রাচীন কালীপুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম পুরনো নৈহাটির বড়মার পুজো। নৈহাটির বড়মার উচ্চতা প্রায় ২১ ফুট।
নৈহাটি স্টেশন রোড দিয়ে জেটিঘাটের দিকে যে রাস্তা চলে গেছে সেখানেই পড়ে এই মন্দির। অঞ্চলের অন্যান্য কালী মন্দিরের থেকে এখানকার মন্দিরের মূর্তি অনেক বড় হওয়ায় ভক্তরা বড় মা বলে ডাকেন দেবী কালীকে। প্রতিবছর কালীপুজোর সময় বড় মাকে সাজানো হয় ১০০ কেজিরও বেশি সোনা দিয়ে। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয় বিশাল পরিমাণ পুলিশ।
আরোও পড়ুন : কালীপূজোতেই হুহু করে নামবে পারদ, বড়সড় আপডেট দিল আবহাওয়া দপ্তর
নৈহাটির বড়মার স্থায়ী মন্দির উদ্বোধন হয়ে গেছে কালীপুজোর আগে। মন্দির উদ্বোধনের সাথে সাথে কষ্টি পাথরের বড়মার মূর্তিও দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বছর জুড়ে ভক্তরা দিনে তিনবার পুজো দিতে পারবেন বড়মাকে। সকাল আটটা থেকে দুপুর একটা, দুপুর ১:৩০ থেকে ২:৩০ ও বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্রতিদিন পুজো দেওয়া যাবে বড়মাকে।
ভক্তদের বিশ্বাস যদি বড়মার কাছে মন থেকে কিছু চাওয়া যায় তাহলে তা পাওয়া যায়। মানসিক পুজোর জন্য ভক্তদের মন্দির কমিটির সাথে কথা বলতে হবে সন্ধ্যা ছটার পর। বড়মাকে পুজো দেওয়ার জন্য প্রতিদিনই মন্দিরে বাড়ছে ভিড়। মন্দিরে নির্দিষ্ট লাইন মেনে ভক্তদের প্রবেশ করানো হয় ভিতরে।