নেশনহান্ট ডেস্ক : ইতিমধ্যেই বাংলা জুড়ে শুরু হয়ে গেছে শীতের আমেজ। এই সময়টাতে এক মনোরম আবহাওয়া বিরাজ করে গোটা বাংলা জুড়ে। গরমের নাভিশ্বাস নেই, বৃষ্টির অস্বস্তি নেই। সব মিলিয়ে কয়েকটা দিন এই আবহাওয়ায় কোথাও থেকে ঘুরে আসতে মন্দ লাগবে না। আপনারা এই সময়টাতে প্রিয় সঙ্গীর সাথে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতে পারেন কোলাখাম থেকে।
পাহাড়ি নির্জনতা এই গ্রামে এক অপার শান্তি সৃষ্টি করেছে। মনের একটু শান্তির জন্য কয়েক দিন কোলাখাম ভ্রমণ আপনার জন্য বেশ লাভদায়ক হতে পারে। পাহাড় বলতে আমাদের মনে যে যে ছবি ভেসে ওঠে, তার সব কিছুই রয়েছে এই গ্রামে। এই পাহাড়ি গ্রাম থেকে অপূর্ব কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখতে পাবেন।
আরোও পড়ুন : একের পর এক ঘূর্ণাবর্ত তৈরী বঙ্গোপসাগরে! বাংলায় কতটা প্রভাব পড়বে? চমকে দেবে IMD আপডেট
এছাড়াও সবুজ ঘেরা পাহাড়, ঝর্না, মেঘ কুয়াশার লুকোচুরি এই জায়গার মাহাত্ম আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ছাঙ্গে ফলস এখন থেকে খুব কাছে। ছাঙ্গে ফলসের সৌন্দর্যতা প্রকাশের ভাষা নেই। দূর থেকে দাঁড়িয়ে যদি এই ঝর্নার রূপ আস্বাদন করেন তখনো আপনার গা ভিজিয়ে দেবে এই ফলসের হালকা জল রাশি।
আরোও পড়ুন : হু হু করে নামবে ইলেকট্রিক বিল! শুধু বদলে ফেলুন এই ছোট্ট ২ জিনিস, ব্যস কেল্লাফতে
কোলাখামের হোমস্টেগুলি যেখানে অবস্থিত সেখান থেকে ছাঙ্গে ফলস ৭ কিলোমিটার দূরে। এখানে আসার জন্য উঠে পড়তে হবে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে। পরের দিন সকাল ১০টায় নেমে পড়তে হবে নিউ মাল জংশনে। সেখান থেকে গাড়ি করে পোঁছে যেতে হবে লাভা। কোলাখাম লাভা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে। শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে কালিম্পং হয়ে লাভা, লাভা থেকে জীপে কোলাখাম পৌঁছাতে পারেন।
এখানে রয়েছে থাকার মতো ১৫ টি হোমস্টে। এগুলির ভাড়া দৈনিক ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকার মতো। কোলাখাম থেকে লাভা যাওয়ার রাস্তা যেদিকে চলে গেছে, তার অধিকাংশটাই গেছে নেওড়া ভ্যালি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অসংখ্য পাখি আপনার নজরে আসবে। সাইডেড ফ্লাই ক্যাচার, রুফাস সিবিয়া, গ্রিন-ব্যাকড টিট ইত্যাদি পাখির সমাগম দেখা যায় এখানে।