নেশনহান্ট ডেস্ক : দীপাবলি (Diwali) মানেই আলোর উৎসব। এই উৎসবে মেতে ওঠে গোটা দেশ। এই সময় প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই জ্বলে ওঠে প্রদীপ, মোমবাতি। দীপাবলি ছোট থেকে বড়, সবাই উপভোগ করছেন চুটিয়ে। দীপাবলিতে আতশবাজি ফাটানোর রেওয়াজ বহুদিনের। আতশবাজি ছাড়া অনেকের কাছেই দীপাবলি অসম্পূর্ণ।
চরকি, চকলেট বোম, চরকা, ফুলঝুড়ি, রংমশাল, তুবড়ি সহ একাধিক আতশবাজি না ফাটালেই যেন নয় এই সময়টাতে। কিন্তু জানেন আমাদের দেশেই এমন একটি রাজ্য আছে যেখানে দীপাবলীর সময় আতশবাজি ফাটানো হয় না? এই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গা রয়েছে আতশবাজি ফাটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আরোও পড়ুন : ২১ পেরোতেই বাজিমাত! দত্তক নিয়েছেন একটি গ্রাম; IAS, IPSদের ট্রেনিং দিয়ে নজির সৃষ্টি এই যুবকের
এর পিছনের কারণ জানলে সত্যিই অবাক হতে হয়। কালীপুজো, দীপাবলীর সময় গোটা দেশেই আতশবাজির রোশনাই দেখা যায়। অনেক সময় বাজির শব্দে কান পাতা দায় হয়ে ওঠে আমাদের। তবে স্রোতের ভিন্ন ধারায় হেঁটেছেন তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ইরোড জেলার সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা।
আরোও পড়ুন : রিপোর্ট গেল আদালতে! বন্ধ বাড়ির খাবার, এবার জেলের ভাতই খাবে বালু, কিন্তু কী এমন ঘটল ?
উৎসবের মরশুমে এই সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা ব্যবহার করেন না আতশবাজি। কারণ এই গ্রামের খুব কাছেই রয়েছে অভয়ারণ্য। অভয়ারণ্যের পাখিদের কথা চিন্তা করে এখানকার মানুষেরা আতশবাজি ফাটানো থেকে দূরে থাকেন। শুধুমাত্র আলোর মাধ্যমে তারা উদযাপন করেন দীপাবলি। এই সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা বছরের পর বছর ধরে এই নিয়ম পালন করে আসছেন।
ইরোড থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামগুলি। পাখিদের এই অভয়ারণ্যটি ভাদামুগাম ভেলোডের আশেপাশে অবস্থিত। স্থানীয় পাখি ও পরিযায়ী পাখিরা অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই অভয়ারণ্যে ডিম পাড়তে আসে। এই সময়ের মধ্যেই পড়ে দীপাবলি। তাই দীপাবলীর আতশবাজির জন্য যাতে পাখিদের কোনও অসুবিধা না হয়, তাই এই ব্যবস্থা।
গত ২২ বছর ধরে এই গ্রামগুলির ৯০০টির বেশি পরিবার এই নিয়ম পালন করে আসছেন। সেলাপ্পাম্পালিয়াম, ভাদামুগাম ভেলোদ, সেমান্দামপালায়াম, কারুক্কানকাট্টু ভালাসু, পুঙ্গামপাদি এবং আরও দুটি গ্রামের বাসিন্দারা দীপাবলিকে সত্যিই আলোর উৎসবে পরিণত করেছেন। শুধু তাই নয়, পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে এ যেন এক নতুন বার্তা দিচ্ছে।