নেশন হান্ট ডেস্ক: সাধারণ মানুষদের কথা ভেবে সরকারের (Government) তরফে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি প্রকল্পের মাধ্যমেই নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। আমাদের রাজ্যেও (West Bengal) ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে শুরু করা বেশ কিছু প্রকল্প তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। যেগুলির মধ্যে রয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথী কিংবা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রকল্পগুলি।
প্রতিবছরই বিপুল সংখ্যক রাজ্যবাসী এই প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়ে লাভবান হচ্ছেন। পাশাপাশি, এই প্রকল্পগুলিকে আরও সহজ করে তুলতে এবং আরও মানুষ যাতে এগুলির সাথে যুক্ত হতে পারেন সেই লক্ষ্যে সরকারের তরফে প্রায়শই নিয়মে কিছু রদবদল নিয়ে আসা হয়। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। যেটি জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই।
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার নবান্নের তরফে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের নিয়মে বদল আনা হচ্ছে। যার জেরে সুবিধা হবে আবেদনকারীদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম পছন্দের প্রকল্প হল লক্ষীর ভান্ডার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তিনি এই প্রকল্প সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এমতাবস্থায়, তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করে শুরু করেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। যেটি ইতিমধ্যে সুপারহিট হয়েছে রাজ্য জুড়ে।
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের জন্য ফের চমক Jio-র! সস্তার এই প্ল্যানে মিলছে 6GB ফ্রি ডেটা, রয়েছে একাধিক সুবিধাও
এদিকে, এতদিন পর্যন্ত এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের “দুয়ারে সরকার” ক্যাম্পের জন্য অপেক্ষা করতে হতো। এই ক্যাম্প আবার বছরে অন্তত তিনবার হয়ে থাকে। অর্থাৎ আগের নিয়ম অনুযায়ী ওই ক্যাম্প ছাড়া লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করা যেত না। তবে, এবার এই নিয়মেই বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে নবান্ন।
আরও পড়ুন: মাত্র ১৪ ঘণ্টায় ৮০০ টি ভূমিকম্প! তৈরি হল অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা, চরম বিপদের সম্মুখীন এই দেশ
জানা গিয়েছে যে, এবার থেকে বছরের যেকোনো সময়ে রাজ্যের মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের আবেদনের যেতে হবে বিডিও অফিসে। পাশাপাশি, যাঁরা শহরে থাকেন তাঁরা SDO অফিসে গিয়েই এই আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও, কলকাতা পৌর নিগম এলাকার যাঁরা বাসিন্দা তাঁরা আবেদন করতে পারবেন পৌরসভায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন রাজ্যের মহিলারা। এক্ষেত্রে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে পান ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলারা প্রতিমাসে ১,০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি, এই প্রকল্পে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর হতে হয়। এছাড়াও, আবেদনকারীর বয়স ৬০ বছর হয়ে গেলে এই প্রকল্প বার্ধক্য ভাতায় রূপান্তরিত হয়ে যায়।