ছিল ১০ হাজার টাকার দোকান, আজ ৩২ হাজার কোটির ব্যবসা! সারা ভারতে নামডাক কলকাতার এই ব্যবসায়ীর

নেশনহান্ট ডেস্ক : ইচ্ছাশক্তি মানুষকে পৌঁছে দিতে পারে তার কাঙ্খিত সীমায়। কলকাতার এই ব্যবসায়ী সামান্য কিছু টাকা পুঁজি করে নেমেছিলেন ব্যবসায়। ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তিনি আজ ৩২ হাজার কোটি টাকার সাম্রাজ্যের অধিকারী। শূন্য থেকে শুরু করে এই ব্যবসায়ী আজ নিজের প্রতিষ্ঠানকে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত করেছেন।

তার প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। এই বিশাল সাম্রাজ্য তৈরি করতে এই ব্যবসায়ীর সময় লেগেছে প্রায় ২১ বছর। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের গোটা দেশ জুড়ে রয়েছে ৬০০ টির বেশি স্টোর। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এই প্রতিষ্ঠান আজ বিদেশের মাটিতেও সফলভাবে ব্যবসা করছে। বিদেশে ১৬ টি স্টোর রয়েছে এই সংস্থার।

রবি মোদী (Ravi Modi) রয়েছেন দেশের শীর্ষ ১০০ ধনী ব্যক্তির তালিকায়। এথনিক ওয়্যার ব্র্যান্ড ‘Manyavar’ এর প্রতিষ্ঠাতা রবি মোদী যেন এক ইতিহাসের নাম। আইআইএফএল হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২২-এ দ্রুততম উপার্জনকারী হিসেবে স্থান দখল করেছেন রবি মোদী। ফোর্বস বলছে, রবি মোদীর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৮,৩১৯ কোটি টাকা।

আরোও পড়ুন : আর মাত্র কিছুক্ষণ! দিঘার খুব কাছেই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়, দক্ষিণবঙ্গে জারি বিশেষ সতর্কতা

মান্যবর এখন গোটা দেশেই একটি সুপরিচিত নাম। বিশেষ করে বিয়ের বাজারে এর জুড়ি মেলা ভার। তবে এই সংস্থা একদিনে কিন্তু এই উচ্চতায় পৌঁছায়নি। রবি মোদীর ন্যায় ও নিষ্ঠা আজ তাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। কলকাতায় একটি ছোট কাপড়ের দোকান ছিল রবি মোদীর বাবার। রবি মোদী ছোট থেকেই এই দোকানে বাবার সাথে কাজ করতেন।

আরোও পড়ুন : আজকের রাশিফল ১৭ নভেম্বর শুক্রবার! দেবাদিদেবের কৃপায় ঘুরবে ভাগ্যচক্র, সুখের মুখ দেখবে এই রাশিগুলি

দীর্ঘ ৯ বছর এই দোকানে কাজ করে রবি মোদী অনেক কিছুই আয়ত্ত করেন। এরপর কলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বাণিজ্যে স্নাতক হন তিনি। কলেজ পাশ করার পর বাবার দোকানে সেলসম্যান হয়ে কাজ শুরু করেন রবি মোদী। কিন্তু একদিন বাবার সাথে মতবিরোধ হওয়ায় তিনি আলাদাভাবে কিছু করার পরিকল্পনা করেন।

img 20231117 131731
 

মায়ের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নিয়ে নিজস্ব দোকান খোলেন রবি মোদী। ছেলের নামে এই দোকানটির নাম রাখেন বেদান্ত ফ্যাশনস। এই কোম্পানিটি তৈরি করতে শুরু করে ভারতীয় পোশাক। এরপর একটি এজেন্সির পরামর্শে রবি নিজস্ব ব্র্যান্ড খোলেন। সেই ব্র্যান্ড আজ পরিচিত  ‘মান্যবর’ নামে।