নেশনহান্ট ডেস্ক : ঘুরতে যেতে কে না ভালোবাসে! হিন্দু, পাঞ্জাবি, শিখ, মুসলমান, খ্রিস্টান সে যে জাতিরই মানুষ হোক না কেন , ঘোরার সুযোগ থাকলে কোনোমতেই হাতছাড়া করে না। তার উপর আমাদের দেশে বাঙ্গালীদের নিয়ে তো কিছু চলতি কথাই আছে। কথায় বলে, খাওয়ার দিক দিয়ে মাছে ভাতে বাঙালি, আর ঘুরতে যাওয়ার দিক দিয়ে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে ফুল।
হাতে দু’দিনের ছুটি পেতেই ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিদের মন কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য উড়ু উড়ু করতে থাকে । সেজন্য কেউ যান সমুদ্রে ঘুরতে আবার, কেউ যান পাহাড়। আবার কেউ সমতলের নানান জায়গায় বেড়িয়ে আসেন। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমন একটা জায়গার কথাই বলব যেটা আমাদের পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে। জায়গাটি বোলপুর শান্তিনিকেতন।
আরোও পড়ুন : বাঁচতে দিন! আদালতে বালুর আকুতি শুনে যা বললেন ইডি আধিকারিকরা, শুনে চমকে উঠবেন আপনিও
রবি ঠাকুরের দেশ শান্তিনিকেতনের নাম মাথায় এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাউলদের সমাগম, বাউল গান, একতারার সুর, সোনাঝুড়ি জঙ্গল, কংকালিতলার মন্দির, টক মিষ্টি দই ও আরও কত কি। বছরের প্রায় সবসময়ই এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু জানেন কি এখানে আরো এক শতাব্দী প্রাচীন জিনিস রয়েছে যার পিছনে রয়েছে পুরানো ভূতুড়ে ইতিহাস?
আরোও পড়ুন: দুর্দান্ত খবর! প্রায় ২০০ স্পেশ্যাল ট্রেন শিয়ালদা-হাওড়া রুটে, পুজোর আবহে বড়সড় আপডেট রেলের
ওখানে বসবাসকারী দের মতে, শান্তিনিকেতনের বিশেষ জায়গাতে নাকি ভূত আছে। আমরা যে বাড়ির সম্পর্ক কথা বলছি তা হচ্ছে রাইপুর রাজবাড়ী। এক সময়ে বন্যার জলে ভেসে যায় আদমপুর। যদিও পরে আবারও একবার নতুন করে এই আদমপুর গড়ে ওঠে এবং আদমপুর উত্তরের দিকে তৈরি হয় রাইপুর রাজবাড়ী।
জানা যায়, ১৭৬৪ সালে মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থেকে লালচাঁদ দে এই রাইপুরে চলে আসেন এবং ১৭৭০ সালে রাইপুর চৌধুরীদের থেকে জমিদারী কিনে নেয় লালচাঁদ। লালচাঁদের তিন ছেলে—পঞ্চানন, রামকিশোর ও শ্যামকিশোর। পরে ৬০ বিঘা জমির উপর তিন ছেলের জন্য তিনটি বাড়ি তৈরি করেন লালচাঁদ। সেখানে ১২০ টি ঘর ছিল।
সেই সময়ে শ্যামকিশোরের নাতি বিশ্বম্ভর সিংহকে বর্ধমানের রাজা তিলকচাঁদ তাঁকে ‘রায়’ উপাধি দেন। সেখান থেকেই নাকি এই গ্রামের নাম ‘রায়পুর’ বা আজকের ‘রাইপুর’ হয়েছে বলে মত সেখানকার বসবাসকারী মানুষদের। বর্তমানে এই রাইপুর রাজবাড়ীর বয়স ৩০০ বছর। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যেটা এখন ধীরে ধীরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে।
তবে এখানকার মানুষদের মতে এই রাজবাড়ীতে নাকি ভূত আছে। আজও নাকি তার আত্মা এই বাড়ীর টানে এই বাড়িতেই ঘুরে বেড়ায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ রূপে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে লেখা। ‘নেশনহান্ট’ ডিজিটাল মিডিয়া অবশ্য এখনও ভৌতিক ঘটনার কোন সত্যতা যাচাই করে নি।