দার্জিলিং তো অনেক হল! টুক করে চলে যান মিরিকের এই গ্রামে, চারিদিকে শুধুই সবুজের মেলা

নেশনহান্ট ডেস্ক : শীতকাল মানেই গায়ে মিঠে রোদ মেখে ঘুরতে বেরিয়ে পরা কিছুদিনের জন্য। তবে বর্তমান সময় কাজ বা স্কুল থেকে ছুটি পাওয়া বড় সমস্যা। তাই অনেকই রয়েছেন এমন কিছু জায়গায় ঘুরতে যেতে চান যেখানে গেলে সময় লাগে অত্যন্ত কম, আর ভ্রমণ হয় বাজেট ফ্রেন্ডলি। আজ এমন একটি অফবিট পাহাড়ি গ্রামের সন্ধান দেব।

এখানে গেলে আপনারা হারিয়ে যাবেন এক অন্য জগতে। মিরিকের কাছে অবস্থিত এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম বুংকুলাং। এই গ্রামে রয়েছে অপূর্ব এক মাদকতা। অনেকেই এই গ্রামের নাম শোনেননি। তবে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই অকল্পনীয়। এই গ্রামের যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই চোখে পড়বে ঘন জঙ্গল ও পাহাড়। মূলত কৃষি হাব এটি।

আরোও পড়ুন : দীঘা, পুরি ভুলে পা রাখুন এই পাখিদের গ্রামে! লোকাল ট্রেনে খরচ সামান্যই, আর মন চাইবে না ফিরতে

তবে এই গ্রামে চাষের জমি ছাড়াও রয়েছে বিস্তীর্ণ সবুজ এলাকা। এই গ্রামে রয়েছে ১৯টি পুকুর। এই পুকুরগুলিতে মাছ চাষ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়ির সামনে রয়েছে ফুল ও অর্কিডের বাগান। এই গ্রামের বাসিন্দাদের আতিথেয়তা মনে রাখার মতো। এই গ্রামে পর্যটকদের আনাগোনা কম।

আরোও পড়ুন : হু হু করে নামবে পারদ, এই দিনেই জাঁকিয়ে পড়বে শীত! চমকে দেওয়া খবর দিল আবহাওয়া দপ্তর

তাই কয়েকটা দিন নিশ্চিন্তে এখানে ছুটি কাটাতে পারেন। পাহাড় ও জঙ্গলের সংমিশ্রনে গড়ে ওঠা এই গ্রাম আপনাকে দেবে এক অদ্ভুত প্রশান্তি। সকালে আপনাদের ঘুম ভাঙবে পাখির ডাকে। ঘরের জানলা থেকে গোটা গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। ফটোগ্রাফির জন্য এটি যেন এক আদর্শ জায়গা।

bunkulung 480

যাবেন কীভাবে? শিয়ালদা থেকে প্রথমে ট্রেন ধরে আপনাকে যেতে হবে শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি মিরিক হাইওয়ে ধরে সেখান থেকে আপনাকে পৌঁছতে হবে এই গ্রামে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে এই গ্রামে পৌঁছতে লাগবে মাত্র দেড় ঘন্টা। তাহলে আর দেরি কিসের, টুক করে ঘুরে আসুন দুদিনের জন্য।