সূর্যের কাছাকাছি গিয়েই কাজে লেগে পড়ল আদিত্য L-1! পাঠাল বড়সড় তথ্য, জানলে চমকে উঠবেন

নেশন হান্ট ডেস্ক: আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় নক্ষত্র “সূর্য”-কে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে ইতিমধ্যেই রওনা হয়েছে ISRO (Indian Space Research Organisation)-র আদিত্য L-1 (Aditya L-1) মহাকাশযান। যেটি সেখানে সূর্যের “মহা-বিস্ফোরণ”-এর সাক্ষী হয়েছে। মূলত, আদিত্য L-1 সোলার ফ্লেয়ার্সের প্রথম হাই-এনার্জির এক্স-রে ঝলক দেখেছে। এই প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার একটি পোস্টে, ISRO জানিয়েছে যে “আদিত্য L1″ মহাকাশযানে ইনস্টল করা ‘হাই এনার্জি L1 অরবিটিং এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার’ (HEL1OS) সোলার ফ্লেয়ার্স রেকর্ড করেছে।”

পাশাপাশি, ISRO আরও জানিয়েছে যে, HEL1OS গত ২৯ অক্টোবর থেকে সূর্যের পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে একজন ISRO বিজ্ঞানী পিটিআইকে জানিয়েছেন যে, সোলার ফ্লেয়ার্সের প্রথম হাই-এনার্জি এক্স-রে ঝলক রেকর্ড করার বিষয়টি এই ইঙ্গিত দেয় যে, মিশনটি প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করছে।

সোলার ফ্লেয়ার্স: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যখন সূর্যের চৌম্বকীয় শক্তি নির্গত হয় তখন সেটি থেকে নির্গত আলো এবং কণা দ্বারা সোলার ফ্লেয়ার্স তৈরি হয়। এগুলি হল সৌরজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণ। যা কোটি কোটি হাইড্রোজেন বোমার সাথে তুলনীয় শক্তি নির্গত করে। এদিকেজ এগুলির মধ্যে উপস্থিত এনার্জেটিক পার্টিক্যাল আলোর গতিতে সফর করে।

আরও পড়ুন: আরও সস্তা হয়ে যাবে LPG সিলিন্ডার! এই প্রথমবার বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার

আদিত্য L-1 মিশন: ভারতের প্রথম স্পেস-বেসড অবজারভেটরি হল আদিত্য-এল-1। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে পৌঁছে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করবে। আদিত্য L-1 যে স্থানে থাকবে সেটি সান-আর্থের প্রথম ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট (L১) নামে পরিচিত। সেখান থেকে সবসময় সূর্যের দিকে নজর রাখা যাবে।

আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান! সামনে এল Royal Enfield-এর প্রথম ইলেকট্রিক বাইক, চমকে দেবে এর ফিচার্স

এদিকে, এই মিশনটি কাজ শুরু করার পর ISRO রিয়েল টাইমে সূর্যের গতিবিধি সম্পর্কে জানতে পারবে। আদিত্য L-1 মহাকাশযান সাথে নিয়ে গেছে ৭ টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র। সেগুলির প্রত্যেকটিই দেশে প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই যন্ত্রগুলির সাহায্যে সূর্যের বিভিন্ন অংশকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণকরা হবে। এই যন্ত্রগুলির মধ্যে একটি হল HEL1OS। যেটি সোলার ফ্লেয়ার্সের হাই-এনার্জি এক্স-রে-গুলির প্রথম আভাস রেকর্ড করেছে।