নেশনহান্ট ডেস্ক : আমাদের দেশে এখনো এমন বহু পরিবার রয়েছে যেখানে কন্যা সন্তান জন্মালে মাকে মুখোমুখি হতে হয় হাজারো লাঞ্ছনার। অনেক সময় দেখা যায় কন্যা সন্তানকে হাসপাতালে ফেলেই পালিয়ে গেছেন মা। আবার কখনো শোনা যায় সামান্য কিছু অর্থের বিনিময় কন্যা সন্তানকে বিক্রিও করে দিয়েছেন বাবা-মা।
কিন্তু লাভপুরের নাসিরুল ইসলাম এসব কিছুর সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন। কন্যা সন্তান হওয়ার আনন্দে রীতিমতো গাড়ি সাজিয়ে তাকে বরণ করেছেন গর্বিত নাসিরুল। নাসিরুল ইসলাম লাভপুর ষষ্ঠীনগরের বাসিন্দা। একটি বেসরকারি সংস্থায় তিনি কর্মরত। বছরখানেক আগে নাসিরুলের সাথে বিয়ে হয় সাঁইথিয়ার বড়সিজা গ্রামের সাবিয়া খাতুনের।
আরোও পড়ুন : রেডি রাখুন লেপ, কম্বল! এই দিন থেকে শুরু হবে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা, ১১ ডিগ্রি ছোঁবে দক্ষিণবঙ্গের পারদ
চলতি মাসের ৩ তারিখ সাবিয়া এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। গত মঙ্গলবার নাসিরুল কন্যাকে ঘরে নিয়ে আসার জন্য সাজিয়ে তোলেন মাতৃসাথী প্রকল্পের অ্যাম্বুলেন্স। একই সাথে মিষ্টি মুখ করান হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবথেকে ছোট নাসিরুল। বড় দাদা কবিরুলের দুই ছেলে, এক মেয়ে, ছোট দাদার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
আরোও পড়ুন : খেতাব জিতেছিলেন রাজ্যের সেরা সুন্দরীর! আজ তিনিই UPSC টপার, চিনে রাখুন এই তরুণীকে
তবুও নাসিরুল খুশি তার বাড়িতে কন্যা সন্তান আসায়। পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কর্মী ছিলেন নাসিরুলের বাবা শেখ আব্দুল মুজিদ। নাসিরুলের পরিবারের বক্তব্য, ছেলে হোক বা মেয়ে, সবই তো আল্লার দান। সেই দানে যারা বিচার করেন তারা আসলে অমর্যাদা করেন আল্লাকে।সদ্য কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া এই দম্পতি বলছেন, আমরা চেয়েছিলাম যে সন্তানই হোক না কেন সে যেন সুস্থ হয়।
মেয়েরা মা লক্ষ্মীর রূপ। বাড়িতে লক্ষ্মী এসেছে। সবদিক থেকে এগিয়ে চলেছে মেয়েরা। লাভপুর সত্যনারায়ণ শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তথা সমাজকর্মী মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলছেন, এই যুবক ও তার পরিবারকে অভিনন্দন। অনুসরণযোগ্য তাদের মানসিকতা।