২৩ বছরের হাঁটুর বয়সী নাতিকে বিয়ে ৯১-র বৃদ্ধার! তারপরেই বড় টুইস্ট, চমকে দেবে এই “প্রেমের কাহিনি”

নেশন হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) যুগে প্রায়শই এমন কিছু খবর সামনে আসে যেগুলি অবাক করে দেয় প্রত্যেককেই। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিবাহ (Marriage) সংক্রান্ত বিষয়েও নজিরবিহীন সব ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। যেটি জানার পর স্তম্ভিত হবেন প্রত্যেকেই। মূলত আমরা যে বিষয়টি উপস্থাপিত করব সেটি আর্জেন্টিনা (Argentina) থেকে সামনে এসেছে।

সেখানে ২৩ বছরের এক যুবক ৯১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে (সম্পর্কে যুবকের মাসি) বিয়ে করে ফেলেন। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিক এইরকমই এক ঘটনা ঘটেছে। সবথেকে চমকপ্রদ বিষয় হল, তাঁদের এই অদ্ভুত ভালোবাসার গল্পে রয়েছে এক বড় টুইস্টও। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ৯১ বছর বয়সী ইয়োলান্ডা টরেস আর পৃথিবীতে নেই। এদিকে, ২৩ বছর বয়সী মাউরিসিও ওসোলা পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি এখন ইয়োলান্ডার পেনশন দাবি করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু মাত্র এক বছর পর এপ্রিলে ইয়োলান্ডা মারা যান। এমতাবস্থায়, তিনি এখন পেনশন পাওয়ার অধিকারী বলে দাবি করেন। যদিও, স্থানীয় প্রশাসন তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। পাশাপাশি, প্রতিবেশীরাও জানান যে, মাউরিসিও বিয়ের একটি মিথ্যে গল্প তৈরি করেছেন।

আরও পড়ুন: হাল ছাড়ছে না চন্দ্রযান-৩! হাসিল নয়া সাফল্য, ISRO সামনে আনল বড় তথ্য

এই প্রসঙ্গে মিরর অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ২০০৯ সালে মতবিরোধের পর মাউরিসিওর বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এরপর মাউরিসিও তাঁর মা, বোন, দিদা এবং মাসির সাথে থাকতে শুরু করেন। এদিকে, তিনি তাঁর মাসির মৃত্যুর পর থেকে অর্থাৎ ২০১৬ সাল থেকে পেনশনের দাবির জন্য লড়াই করছেন।

আরও পড়ুন: বিদেশের প্রযুক্তিকে চ্যালেঞ্জ! ১২ হাজার হর্স পাওয়ারের রেল ইঞ্জিন তৈরি করে তাক লাগাল চিত্তরঞ্জন

এমতাবস্থায়, কর্তৃপক্ষ যখন মাউরিসিও দাবির তদন্ত শুরু করে, তখন তারা তাঁর আত্মীয়দের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে যে, এই অদ্ভুত বিয়ে সম্পর্কে তাঁদের কোনো ধারণা ছিল না। কেউ কেউ এমনও বলেছেন যে, মাউরিসিও মিথ্যে গল্প ফেঁদেছেন। তবে, মাউরিসিও জানিয়েছেন, তিনি পেনশন হাসিল করেই ছাড়বেন। এমনকি, প্রয়োজন হলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যেতেও প্রস্তুত।

A 91-year-old woman married a 23-year-old man

মাউরিসিওর মতে, তাঁর মাসিই তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। এটাই তাঁর শেষ ইচ্ছে ছিল। মাউরিসিও আরও বলেন, “তিনি আমার জীবনের বড় সাপোর্ট ছিলেন। আমি তাঁকে খুব ভালোবাসতাম। তার চলে যাওয়ায় আমি সারাজীবন শোকাহত থাকব।” তিনি জানান, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর মাউরিসিও পড়াশোনা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইয়োলান্ডা তাঁর পড়াশোনার পুরো খরচ বহন করেছিলেন। এরপরে তাঁরা দু’জনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।