নেশনহান্ট ডেস্ক : সুস্মিতা সেন যিনি রূপে গুণে অতুলনীয়। যার নম্র স্বভাব আজ ও মানুষের মন খুব সহজেই কেড়ে নেয়। ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী হবার পাশাপাশি তিনি একজন অবিবাহিত সিঙ্গেল মাদার। তিনি দুই কন্যা সন্তানকে দত্তক নিয়ে নিজের পরিচয় দেন। তিনি অভিনেত্রী হিসাবে কোন প্রতিযোগিতায় নামেননি, এমনকি কখনো কোনো সহ অভিনেতা বা অভিনেত্রীর সফলতা নিয়ে নিন্দা করেননি।
বরং উল্টে প্রশংসাই করেছেন। সেই অভিনেত্রী একবার এক সহ অভিনেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন। আর সেই সহ অভিনেতা আর কেউ নয় বাংলা ও হিন্দি জগত কাঁপানো সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। কি ঘটনা ঘটেছিল সেদিন? আমরা সবাই জানি ‘দস্তক’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে প্রথম পা রেখেছিলেন সুস্মিতা সেন।
আরোও পড়ুন : অনন্য নজির বঙ্গ কন্যার! পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়েই মাত্র ২৩ বছরে UPSC তে নজরকারা সাফল্য
যে সুস্মিতা সেন কখনো কোন মানুষের বিরুদ্ধে কোন কুরুচিকর মন্তব্য করেননি সেই সুস্মিতা ২০০৬ সালে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। কল্পনা লাজমির পরিচালনায় ‘চিঙ্গারি’ সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সুস্মিতা সেন এবং মিঠুন চক্রবর্তী। এই সিনেমায় এক যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল বিশ্বসুন্দরীকে।
আরোও পড়ুন : আরোও পাঁচ বছর ফ্রি রেশন! ৮০ কোটি মানুষকে উপহার প্রধানমন্ত্রীর, গ্যাস নিয়েও বড় ঘোষণা
সেই ছবির একটি দৃশ্যে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্য অভিনয় করার কথা ছিল সুস্মিতার। মিঠুনের সঙ্গে এই দৃশ্যে অভিনয় করতে কিছুটা ইতস্তত বোধ করছিলেন তিনি। যার জন্য বারবার নিতে হচ্ছিল টেক। অবশেষে শুটিং যখন শেষ হয়ে যায়, তখন সুস্মিতা সকলের সামনেই কেঁদে ফেলেন। সুস্মিতাকে এইভাবে কাঁদতে দেখে সকলেই অবাক হয়ে যান।
ছুটে আসেন পরিচালক। সুস্মিতা পরিচালকের কাছে দাবী করেন, শুটিং চলাকালীন মিঠুন নাকি তাঁকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করেছেন। বাঙালি সুপারস্টার মিঠুনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শুনে চমকে যান কল্পনা। সুস্মিতা সেনকে তিনি অনুরোধ করেন, যেন এ কথা কেউ জানতে না পারে। মিঠুন কখনোই এমন আচরণ করতে পারেন না কারোর সঙ্গে, সুস্মিতা হয়তো ভুল বুঝেছেন।
কিন্তু দেয়ালেরও কান আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই কথাটি ছড়িয়ে যায়। কথাটা শোনার পরে মিঠুন চক্রবর্তী নিজে অভিনেত্রীর কাছে আসেন এবং তিনি অভিনেত্রীকে জানান অভিনেত্রী ব্যাপারটি হয়তো ভুল ভাবে দেখেছেন। মিঠুন কোনভাবেই সুস্মিতাকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করার কথা চিন্তাও করেন না।
কিন্তু এরপরেও যদি সুস্মিতা ভুল বুঝে থাকেন তাহলে তাকে যেন ক্ষমা করে দেন। মিঠুনের এই কথা শোনার পর বিশ্ব সুন্দরী বুঝতে পারেন, তার কোথাও ভুল হয়েছে এবং তিনিও মিঠুনের কাছ ক্ষমা চেয়ে নেন। তবে এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বলিপাড়ায়।