নেশনহান্ট ডেস্ক : প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মুম্বাই যান নিজেদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। বহু মানুষের স্বপ্ন থাকে বলিউডে কেরিয়ার তৈরি করার। কিন্তু অসংখ্য মানুষের মধ্যে খুব কম সংখ্যক মানুষ সফলতা পান বলিউডে। তবে চলচ্চিত্র জগতে সফলতা পেলেও তাকে ধরে রাখা মোটেও সহজ কাজ নয়। একটা ছোট ভুল শেষ করে দিতে পারে গোটা কেরিয়ার।
অতীতে এমন বহু বলিউড তারকা রয়েছে যারা ছোট্ট ছোট্ট ভুলের কারণে মোটা খেসারত দিতে বাধ্য হয়েছেন। সালমান খান, সঞ্জয় দত্তর মতো অভিনেতারা এর বড় প্রমাণ। তবে আজ আমরা এমন একজন পরিচালক-প্রযোজককে নিয়ে কথা বলছি যিনি একটা সময় প্রচন্ড অহংকারী ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিচিত ছিলেন বলিউডে।
আরোও পড়ুন : পুজোয় শুধুমাত্র রেস্তরাঁ থেকেই বিপুল লক্ষ্মীলাভ! ১১০০ কোটি ঘরে এল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
অল্প সময়ের মধ্যে আশাতীত সাফল্য তাঁর জীবনে ডেকে আনে বিপর্যয়। আমরা কথা বলছি পরিচালক সাজিদ খানের সম্পর্কে। একটা সময় সাজিদ খান বেশ সাফল্য পেয়েছিলেন বলিউডে। সাজিদ প্রথম পরিচালনা শুরু করেন ২০০৬ সালে। ‘ডরনা ভি জরুরি হ্যায়’ ছবি পরিচালনার মাধ্যমে তিনি বলিউডে হাতে খড়ি করেন।
আরোও পড়ুন : এবার মাত্র ৫ দিন গেট খুলবে ব্যাঙ্কের! বাড়বে ছুটি, বেতনও; দিপাবলীর আগেই বড় খবর
এরপর একাধিক ছবি পরিচালনা করেছেন সাজিদ। তবে শুরু থেকেই একাধিক অভিনেত্রীর সাথে নাম জড়ায় তাঁর। অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এর সাথে তাঁর সম্পর্ক কারোর অজানা নয়। ২০১৩ সালে তাঁদের বিচ্ছেদের খবরও বেশ সাড়া ফেলেছিল। ২০১৮ সালে ‘MeToo’ হ্যাশট্যাগে একাধিক অভিনেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
সাজিদের বিরুদ্ধে শারীরিক লাঞ্ছনার অভিযোগ তোলেন বহু অভিনেত্রী। MeToo বিতর্কের জেরে সাজিদ খানকে সরিয়ে দেওয়া হয় ‘হাউসফুল ৪’ ফিল্ম থেকে। এরপর তিনি অংশগ্রহণ করেন বিগ বসে। কিন্তু তারপরেও তাঁর বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ কমেনি। বর্তমানে চলচ্চিত্র জগত থেকে বেশ দূরে রয়েছেন সাজিদ। তাঁকে নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাও দেখান না প্রযোজকরা