গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন দু’বার! প্রথম স্বামীর হাতে অত্যাচারিত আশা আজও বিশ্বাস করেন না ডিভোর্সে

নেশনহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় ফিল্ম জগতে আশা ভোঁসলে একটি ইতিহাসের নাম। দিদি লতা মঙ্গেশকরের পথ অনুসরণ করে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ গায়িকা আশার। আজ থেকে কয়েক দশক আগে যে জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল আশা ভোঁসলের, তা আজও অক্ষুন্ন। একটা সময় বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের নেপথ্য কন্ঠ হয়ে উঠেছিলেন আশা ভোঁসলে।

অসংখ্য সুপার হিট গান গেয়েছেন একাধিক ভাষায়। একটা সময় লতা মঙ্গেশকরের সেক্রেটারির সাথে কিশোরী আশা বিয়ে করার জন্য পালিয়ে যান। আশার থেকে দ্বিগুণ বয়সে বড় সেক্রেটারির বিয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি লতা। এরপর দুই বোনের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়। স্বামী গণপত ভোঁসলের সাথে আশা ভোঁসলের বিবাহিত জীবন খুব একটা সুখের হয়নি।

আরোও পড়ুন : ২৩ বছরের প্রচেষ্টার পর মিলল সাফল্য! বছর পঞ্চান্ন’র সিকিউরিটি গার্ড পাশ করলেন Msc

যদিও আশার মিউজিক্যাল ক্যারিয়ারে গণপত বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়ার পর আশা ভোঁসলে সংগীত জগত থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর স্বামী গণপত ভোঁসলে একপ্রকার জোর করেই আশা ভোঁসলেকে দিয়ে গান গাওয়াতেন। আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবি শঙ্করের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি মুখ খোলেন।

আরোও পড়ুন : রেডি রাখুন কাঁথা, কম্বল! ফের ঠান্ডায় কাঁপবে দক্ষিণবঙ্গ, বড়সড় আপডেট হাওয়া অফিসের

তিনি বলেছেন, “এখন আমার বয়স ৯০ বছর। তিন সন্তান রয়েছে আমার। যখন আমার পারিবারিক অশান্তি হত তখন আমি সন্তানদের নিয়ে মায়ের কাছে চলে আসতাম। তবুও কখনো ডিভোর্স ফাইল করিনি। এখন তো মাঝেমধ্যেই ডিভোর্সের কথা শুনি। আজকাল প্রজন্ম খুব চটজলদি সিদ্ধান্ত নেয়। এখনকার ছেলেমেয়েরা বড্ড আত্মকেন্দ্রিক।”

১৯৬০ সালে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেনে আশা ভোঁসলে ও তাঁর স্বামী গণপত ভোঁসলে। যদিও আইনি বিচ্ছেদ হয়নি এই দম্পতির। কিংবদন্তি এই গায়িকা সুরকার আর ডি বর্মনকে ১৯৮০ সালে বিয়ে করেন। আর ডি বর্মনেরও এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। যদিও বিয়ের পর বেশিদিন এই জুটি ঘর করতে পারেননি।