নেশনহান্ট ডেস্ক : আজকের দিনে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। ঐন্দ্রিলা শর্মা শুধু একজন অভিনেত্রী নয়, তাঁর নামের সাথে লড়াই, আত্মবিশ্বাস, লক্ষ্যে অবিচল থাকা উপমাগুলিও জুড়ে রয়েছে। ঐন্দ্রিলা শর্মার বন্ধু তথা অভিনেতা সৌরভ দাস সেদিন সমাজ মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘ও জয়ী হয়েছে..!’
সৌরভ সেদিন চোখে জল নিয়ে বলেছিলেন, ‘মিষ্টি আমরা তোমাকে ভালোবাসি, সবসময় বাসব’। অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা একটানা ১৯ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর গত বছর আজকের দিনে প্রয়াত হন। তাঁর লড়াই কারোর অজানা নয়। ঐন্দ্রিলা তাঁর বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী ছাড়াও, এই লড়াইয়ের পাশে পেয়েছিলেন অভিনেতা সৌরভ দাসকেও।
আরোও পড়ুন : দার্জিলিং তো অনেক হল! টুক করে চলে যান মিরিকের এই গ্রামে, চারিদিকে শুধুই সবুজের মেলা
সৌরভ বলেছেন, “যখন আমরা কাজ করতাম তখন ঐন্দ্রিলার সাথে জমজমাট বন্ধুত্ব হয়নি। তবে ও যে ফাইটার সেটা জানতাম। এই কথা আমার মাও আমাকে বলত। ওর সাথে যখন আমার বন্ধুত্ব জমল , তখন আমি আর সব্যসাচী মিলে তৈরি করলাম ক্যাফে। এমন অনেক সময় হয়েছে যখন প্রচুর ভিড়, তখন মিষ্টি এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।”
আরোও পড়ুন : হু হু করে নামবে পারদ, এই দিনেই জাঁকিয়ে পড়বে শীত! চমকে দেওয়া খবর দিল আবহাওয়া দপ্তর
অভিনেতা সৌরভ ঐন্দ্রিলার সাথে ১৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন। তবে একটি ছবির কাজের জন্য সৌরভকে ১৪ তারিখ বেরিয়ে যেতে হয়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সৌরভকে কাজের জন্য বেরিয়ে পড়তে হয়। হাসপাতাল থেকেই বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন সৌরভ। তবে সৌরভের আফসোস, “আমি আসার আগেই চলে গেল মিষ্টি।”
সৌরভ দাস বলছেন, “সব্য, আমি ও আমাদের এক বন্ধু হাসপাতালে ১৪ দিন ছিলাম।হাসপাতালের মধ্যে একটি ঘরে আমরা রাতে শুতাম। রাতে খাবার নিয়ে আসার সময় দেখতাম সব্যসাচী ওয়েটিং রুমে নেই। ওপরের ছোট্ট একটি ঘরে বসে রয়েছে। ভিতরে ঐন্দ্রিলা। আমি গেলে বাচ্চাদের মতো সব্য বলে উঠত, জানিস আজ আঙ্গুলটা একটু মুভ করেছে। এখন মানুষ চাঁদে যাচ্ছে, মঙ্গলে যাচ্ছে। তবে একটা আঙ্গুল নাড়াও যে কতটা বড় প্রাপ্তি সেদিন বুঝেছিলাম।”