সামনেই বিয়ে? অবশ্যই মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি, নাহলেই জীবন হবে অন্ধকার, কি বলছে চাণক্য নীতি?

নেশন হান্ট ডেস্ক: আচার্য চাণক্য (Acharya Chanakya) ছিলেন ভারতের একজন মহান কৌশলবিদ, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, এবং অর্থনীতিবিদ। তিনি শুধু জীবনের সকল বিষয় গভীরভাবে অধ্যয়নই করেননি পাশাপাশি, মানুষের সুষ্ঠু জীবনধারা সম্পর্কে সম্যক ধারণাও প্রদান করেছেন। এমনকি, বর্তমান সময়েও তাঁর কথাগুলি “চিরসত্য” হিসেবে পরিগণিত হয়।

এমতাবস্থায়, যদি কোনো ব্যক্তি তাঁর জীবনে আচার্য চাণক্য প্রদত্ত নীতিগুলি অনুসরণ করে চলেন সেক্ষেত্রে তাঁর জীবনে তিনি চরম উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হবেন। এদিকে, আচার্য চাণক্য বিবাহিত জীবনে কিভাবে সুখ ও শান্তি বজায় থাকতে পারে সেই প্রসঙ্গেও নীতিকথা লিখেছিলেন। শুধু তাই নয়, বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ানোর আগে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার কি কি গুণাবলী থাকা উচিত এবং কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত সেই প্ৰসঙ্গেও বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করেছেন তিনি।

Keep these things in mind before marriage

এমনিতেই, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে বিবাহের বয়স নিয়ে নানা কৌতূহল এবং প্রশ্ন রয়েছে। পাশাপাশি, অধিকাংশজন এটাও জানতে চান যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ফারাক কত হলে সুখে থাকা যায় এবং দাম্পত্য সুখ বৃদ্ধি পেতে পারে? এই বিষয়েও আলোকপাত করেছেন আচার্য চাণক্য।

আরও পড়ুন: ফের বাড়বে Jio-র প্ল্যানের খরচ? উৎসবের মরশুমেই গ্রাহকদেরকে বড় আপডেট দিল সংস্থা

বিবাহ হল আধ্যাত্মিক বিষয়: আচার্য চাণক্যের মত অনুযায়ী, বিবাহের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার একটি সংযোগ রয়েছে। মূলত, দাম্পত্য জীবনের দুশ্চিন্তা দূর করতে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপিত করেছেন চাণক্য। তিনি জানিয়েছেন, বিবাহ হল একটি আদর্শ সামাজিক-ধর্মীয় সম্পর্ক। পাশাপাশি, এটি একটি আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতাও। সামগ্রিকভাবে একটি সফল বিবাহের মাধ্যমে স্বামী এবং স্ত্রী একে অপরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হন।

আরও পড়ুন: শেষ হচ্ছে না ছুটি! সরকারি কর্মীদের জন্য পুজোর পরেও রয়েছে লম্বা হলিডের লিস্ট, দেখুন তালিকা

স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য: এই প্রসঙ্গে আচার্য চাণক্য জানিয়েছেন, দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান যেন খুব বেশি না হয়। কারণ, একজন শারীরিকভাবে সক্ষম পুরুষই তাঁর স্ত্রীর শারীরিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে, স্বামী বৃদ্ধ হলে তিনি তাঁর স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিক সুখ দিতে পারেন না। এমতাবস্থায়, স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণ না হলে তিনি অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে বিবাহিত জীবনে। এমনকি, বৈবাহিক সম্পর্ক নষ্টও হয়ে যেতে পারে।