নেশনহান্ট ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্র জগতে উত্তম কুমার এক মহীরুহের নাম। ৮ থেকে ৮০ এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি উত্তম কুমারকে চেনেন না। বাঙালির কাছে চিরকালের ম্যাটিনি আইডল তিনি। তাঁর কর্মজীবন যেমন চিরকাল আম বাঙালির মনে বিনোদনের ঝড় তুলেছে, ঠিক তেমনই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও সবার কাছে আগ্রহের বিষয়।
স্ত্রী গৌরী দেবীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ থেকে শুরু করে সুপ্রিয়া দেবীর সাথে একসাথে থাকা, এসব কিছুই সত্তরের দশকে ঝড় তুলেছিল প্রতিটি বাঙালির মনে। গৌরী দেবীর সাথে উত্তম কুমারের আইনি বিচ্ছেদ হয়েছিল কিনা তার নিশ্চিত খবর পাওয়া যায় না। তবে সেই সময় উত্তম কুমারের সাথে গৌরী দেবীর সম্পর্কের ফাটল রীতিমতো হট টপিক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
আরোও পড়ুন : উত্তরবঙ্গে লুকোনো স্বর্গ, সামান্য খরচে ঘুরে আসুন এই হিল স্টেশন! মিলবে শান্তি
উত্তম কুমার ও সুপ্রিয়া দেবীর সম্পর্ক নিয়ে সেই সময় বিপুল তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। উত্তম সুপ্রিয়া অভিনীত ‘শুন বরনারী’ ১৯৬০ সালে মুক্তি পায়। শোনা যায় এরপর থেকেই রীতিমতো ঘনিষ্ট হতে শুরু করেন তাঁরা। তারপরই গৌরী দেবীর সাথে উত্তম কুমারের বৈবাহিক সম্পর্ক তিক্ততা পেতে শুরু করে। গৌরী দেবীর সাথে কলহ চরমে পৌঁছালে উত্তম কুমার সুপ্রিয়া দেবীর বাড়ি চলে আসেন।
আরোও পড়ুন : চাকরির সুযোগ এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে! মাধ্যমিক পাশেই হবে আবেদন, রয়েছে প্রচুর শূন্যপদ
সুপ্রিয়া দেবীকে বিবাহ করার পাশাপাশি উত্তম কুমার দত্তক নিতে চান সুপ্রিয়া দেবীর কন্যা সোমা চট্টোপাধ্যায়কে। আইন অনুযায়ী কোনও বিবাহিত পুরুষ সন্তান দত্তক নিতে চাইলে তাঁর স্ত্রীর অনুমতি লাগে। কিন্তু জানা যায় গৌরী দেবী সেই অনুমতি দেননি। সোমা উত্তম কুমারকে ‘বাবি’ বলে ডাকতেন।
যদিও উত্তম কুমার চিরকাল নিজের কন্যার মতো দেখে গেছেন সোমাকে। নিজের হাতে সম্প্রদান করেছিলেন সুপ্রিয়া কন্যাকে। তবে অনেকেই সেই সময় উত্তম কুমারের সাথে সোমা চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে বিভিন্ন নোংরা কথাবার্তা প্রচার করতে থাকেন। অনেকেই খবর রটান যে সুপ্রিয়া দেবী ও সোমা চট্টোপাধ্যায়- দুজনের সাথে সম্পর্ক উত্তম কুমারের।