নেশনহান্ট ডেস্ক : চন্দননগর (Chandannagar) নামটা শুনলে আমাদের মাথায় প্রথম যেটি আসে সেটি হল সেখানকার জগদ্ধাত্রী পুজো। সারা বিশ্বের কাছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো ও আলোকসজ্জা বিখ্যাত। রাজা ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী ছিলেন এখানকার পুজোর প্রবর্তক। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
প্রায় আড়াইশো বছর আগে ইন্দ্রনারায়ন চৌধুরী তাজ্জব বনে যান কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো দেখে। এরপর ইন্দ্রনারায়ণ জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ চাউলপট্টির নিচুপাটিতে। লক্ষীগঞ্জ প্রতিষ্ঠার পর শুরু হয় এই পুজো। এই পুজো এখানে আদি পুজো নামেও বিখ্যাত।
আরোও পড়ুন : এবার সহজেই কনফার্ম হবে ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিটও! কিভাবে সম্ভব? দেখুন
পুরুষানুক্রমে এখনও এই পুজো হয়ে আসছে। প্রধানত চাল ব্যবসায়ীদের জায়গা ছিল লক্ষ্মীগঞ্জের চাউলপট্টি। এই লক্ষীগঞ্জ ঘাট থেকেই একটা সময় বিভিন্ন জায়গায় চাল সরবরাহ করা হত। সেই থেকে এই পুজো বিখ্যাত চাউলপট্টি নামে। একটা সময় লক্ষীগঞ্জ এলাকায় ছিল রেশমের কাপড়ের ব্যবসা।
আরোও পড়ুন : কেটে যাবে জীবনের অন্ধকার, আসবে সুখ, সমৃদ্ধি! কালীপুজোর সময় মাথায় রাখুন এই কয়েকটি নিয়ম
সেখানে চাল ও কাপড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতান্তরের ফলে দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাচীন লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের জগদ্ধাত্রী পুজার শুরু হয়। চন্দননগরের প্রাচীনতম দু’টি বারোয়ারি পুজোর মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীগঞ্জ চৌমাথা (স্থাপিত ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ) ও অপরটি লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার (স্থাপিত ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ)।
কেন্দ্রীয় কমিটির আওতায় বর্তমানে প্রায় ৩০০টিরও বেশি বারোয়ারি পুজো নিবন্ধিত রয়েছে চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে। প্রতিবছর ধুমধাম করে পালিত হয়ে আসছে জগদ্ধাত্রী পুজো। কাতারে কাতারে লোক ভিড় জমান এই পুজোয়। পুজো শেষে লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় শোভাযাত্রায় কারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।