নেশনহান্ট ডেস্ক : ইতিমধ্যে বেশ খানিকটা শীতের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়েছে দিল্লি ও তার আশেপাশের এলাকায়। গায়ে চাদর কিংবা মাথায় টুপি পড়ে মর্নিং ওয়াকে আসছেন অনেকে। হালকা শীতের আমেজ দেশের অন্যত্র শুরু হয়ে গেছে। এই আবহে অনেকের প্রশ্ন তবে কি শীত এগিয়ে আসতে শুরু করেছে? এই মৌসুমে কি শীত তার দাপট দেখাবে?
দিল্লি এবং NCR-এ শীতের তীব্রতা লক্ষ্য করা যায় ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে। এবার হয়ত সেই চেনা ছবিটা বদলে যেতে পারে। এবারের শীতের মৌসুমে দেশের অন্যান্য জায়গাতেও স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য কিছুটা বেশি তাপমাত্রা থাকতে পারে। গোটা ডিসেম্বর মাস জুড়েই এই প্রভাব থাকবে।
আরোও পড়ুন : অহংকারেই পতন! হাতে নেই একটাও ছবি; সংসার থেকে কেরিয়ার সব শেষ এই পরিচালকের
ভারতে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে কতটা শীত পড়তে পারে সেই বিষয়ে গবেষণা চালিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার জলবায়ু আউটলুক ফোরাম। এই গবেষণা রিপোর্ট বলছে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকবে এবারের শীতের মৌসুমে। এই আবহে পরিস্থিতি রীতিমতো ভয়ংকর হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা।
আরোও পড়ুন : এবার মাত্র ৫ দিন গেট খুলবে ব্যাঙ্কের! বাড়বে ছুটি, বেতনও; দিপাবলীর আগেই বড় খবর
রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকবে পশ্চিম ভারত, মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং পূর্বদিকে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনোর প্রভাব থাকবে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত। এল নিনোর ফলে শীত গায়েব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ %। প্রশান্ত মহাসাগরের উপর উৎপন্ন এল নিনোর জেরে বেশ কিছুটা বদল ঘটছে তাপমাত্রায়।
ধারণা করা হচ্ছে শীত দীর্ঘস্থায়ী হলেও খুব একটা নিম্নমুখী হবে না পারদ। এমন পরিস্থিতিতে গবেষকরা বলছেন দ্রুত উষ্ণায়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে পৃথিবী। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর থেকেও একধাপ এগিয়ে এই অবস্থাকে গ্লোবাল বয়েলিং আখ্যা দেওয়া হয়েছে।