বাংলাহান্ট ডেস্ক: এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বিরক্ত মানুষ। তার মধ্যে প্রচন্ড শীতে সকালবেলা ঠিক মতো দেখা মিলছে না রোদের। আবার কখনো কখনো দু-এক পশলা বৃষ্টি হচ্ছে বেশ কিছু জায়গায়। শীতের মধ্যে একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে ঘন কুয়াশার দাপট। এই দুই মিলিয়ে বাংলার আবহাওয়া এখন চরম অস্বস্তির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
অপরদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণাবর্ত তৈরির কথা জানানো হয়েছে। এই কারণে জানুয়ারির শেষে ও ফেব্রুয়ারির শুরুতে মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বাংলার একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে শৈত্য প্রবাহ। তীব্র শীতে নাস্তানাবুদ অবস্থা বিভিন্ন জেলার মানুষদের।
পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা কোথাও কোথাও নেমে গেছে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আজ শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে গোটা রাজ্যেই আগামী তিন দিন থাকবে হিমেল হওয়ার দাপট। এমনকি বেশকিছু জেলায় রয়েছে শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা।
আবহাওয়া দপ্তরের কর্মীরা জানিয়েছেন, রাজ্যে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে ফের একবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উত্তর অংশে একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হতে পারে আগামী সপ্তাহের শুরুতে। সেই কারণে ফের একবার হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে, শীতের মরশুমে বৃষ্টির জেরে চাপে পড়বে রাজ্যবাসী।
অন্যদিকে, একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়খন্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায়। এরফলে রাজ্যে সামুদ্রিক জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস প্রবেশ করবে স্থলভাগে। যার কারণে আগামী ৩১শে জানুয়ারি ও ১লা ফেব্রুয়ারি দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ ও বাংলাদেশের কিছু অংশে।
ঘূর্ণাবর্তের ফলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, উত্তর ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলী, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান ও পুরুলিয়াতে। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, শিলিগুড়িতে রয়েছে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা।