‘আমি ওঁর সংসার ভাঙিনি’, দীপঙ্করের প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে মুখ খুললেন দোলন

নেশনহান্ট ডেস্ক: রিয়েল লাইফে যে কটি জুটি টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সাড়া ফেলেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম দীপঙ্কর দে – দোলন রায়। প্রায় বাবার বয়সী দীপঙ্করকে দীর্ঘদিন ধরে ভালোবেসে আসছেন দোলন। দীর্ঘদিনের লিভ ইন সম্পর্কের পর বিবাহও করেছেন তাঁরা। কিন্তু দোলন রায়ের পরিবারের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া মোটেও সহজ ছিল না। দোলন বলেছেন, যখন তাঁর বাড়িতে দীপঙ্কর দের ব্যাপারে তিনি জানান তখন শুরু হয় তুমুল অশান্তি।

পুরনো স্মৃতি বলতে গিয়ে দোলন জানিয়েছেন, “দীপঙ্করের সাথে সম্পর্কের কথা যখন বাড়িতে জানিয়েছিলাম, তখন বাবা-মা সবাই চিৎকার করে উঠেছিলেন। বাবা অবশ্য অনেক আগে থেকেই সমীহ করতেন শিল্পী দীপঙ্করকে। কিন্তু মেয়ের স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারবেন না। তবে যত সময় এগিয়েছে ততই নিজেকে আরও প্রমাণিত করেছেন দীপঙ্কর। বাবা-মায়ের সাথে কখনো অশান্তি হয়নি দীপঙ্করের। অসম্মান করেননি কখনো। আমাকে দীপঙ্কর বলেছিল, বাবার বয়সী পুরুষের সাথে সম্পর্ক করলে বাড়িতে তো ওরকম অশান্তি হবেই!”

আরোও পড়ুন : দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় আজ ব্যাপক বৃষ্টিপাত! বৃষ্টি থামবে কবে? আপডেট দিল হাওয়া অফিস

এর আগের একটি বিয়ে রয়েছে অভিনেতা দীপঙ্কর দের। সেই পক্ষের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে অভিনেতার। সেই দুই কন্যা আবার বয়সে দোলন রায়ের থেকে বড়। দীপঙ্কর দে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল এক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান মহিলাকে। দীপঙ্করের প্রথম জীবনের সেই মানুষটার সাথে কেমন সম্পর্ক দোলনের?

আরোও পড়ুন : নতুন বছরে আসছে বড় বদল! পাল্টাচ্ছে সিম কেনার নিয়ম, আগেভাগে জেনে নিন বিস্তারিত

এই বিষয়ে দোলন সাফ বলেছেন, “টিটির (দীপঙ্কর দের বড় কন্যা) মৃত্যুর পর ওঁর সাথে আমার প্রথম দেখা হয়। তার আগে কখনোই আমাদের দেখা-কথা হয়নি। আমি দীপঙ্করের ঘর ভাঙিনি। ওঁর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার অনেক বছর পর আমি এসেছি দীপঙ্করের জীবনে। তাই আমাকে নিয়ে কোনো সমস্যা নেই ওঁর। বরং টিটির মৃত্যুর পর আমি সামনে ছিলাম এই বৃদ্ধ বাবা-মাকে (দীপঙ্কর ও তাঁর প্রথম পক্ষে স্ত্রী)।”

একদিকে ক্যারিয়ার, অন্যদিকে দীপঙ্কর দের সাথে ‘অসম’  সম্পর্ক, এসব কিছুর মাঝে যখন দোলন একা হাতে লড়ে গেছেন, সেই সময় তাঁর জীবনে অপূর্ণ রয়ে গেছে একটি স্বাদ। সেটি মাতৃত্বের স্বাদ। এই নিয়ে দোলন রায়ের জবাব, “খুব কষ্ট হত প্রথম প্রথম। তবে এখন বিষয়টা কাটিয়ে উঠেছি। আমার ভাইয়ের পুত্র সন্তানকে নিয়ে দিব্যি কেটে যায় এখন।”