প্রসাদ খেলে হয় ইচ্ছেপূরণ, মানত করা হয় সোনার টিপ দিয়ে! শুনুন, কৃষ্ণনগরের বুড়িমার মাহাত্ম্য

নেশনহান্ট ডেস্ক : বুড়িমা। তিন অক্ষরের এই নামটাই যথেষ্ট। অপূর্ব তার রূপ আর মাহাত্ম্যর কথাতো না বললেই নয়। কৃষ্ণনগরের এই জগদ্ধাত্রী পুজোর টানে ভিড় জমান আট থেকে আশি। বাংলা নানান জায়গা থেকে মানুষ এসে পুজো দেন। কৃষ্ণনগরের চাষাপাড়ার এই ঠাকুরের আরাধনা অবশ্য করা হয় নবমীর দিন। ২৫১ বছরে এবার পা দিল কৃষ্ণনগরের এই বুড়িমা।

9a939095 1e39 4f50 8c8f 0216a5c8d019 1700489915933 1700489921774

কৃষ্ণনগরের মানুষজনদের বিশ্বাস, চাষাপাড়ার এই জগদ্ধাত্রী খুবই জাগ্রত। শুধু তাই নয়, মায়ের প্রসাদ থেকে শুরু করে মায়ের সাজে সোনার টিপের ব্যবহার, এমনকি কৃষ্ণনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি- এই সবকিছু নিয়েই প্রচলিত আছে নানান কাহিনী। আজকের প্রতিবেদনে আমরা লোকমুখে প্রচলিত তেমন কিছু বিষয়কে তুলে ধরব।

আরোও পড়ুন : চন্দ্রযান ৩’র পর নয়া পরিকল্পনা ISRO’র! এবার চাঁদে পা রাখবে মানুষ, কোমর বেঁধে নামছে ভারত

এই পুজোয় ঠাকুরকে এত সুন্দর করে সাজানো হয় যে প্রতিমা দর্শনের জন্য লম্বা লাইন পড়ে যায়। পুলিশ পাহারায় মাকে গহনা পরানো হয়। শোনা যায় এখানে দেবীকে ৩০ ভরি ওজনের সোনার মুকুট ও ৫০ ভরি ওজনের টায়রা টিকলি দিয়ে সাজানো হয়। হাতে থাকে সোনার বালা ও গলায় সোনার সীতাহার। এই পুজোর একটি রীতি হচ্ছে, সোনার টিপ মানত করে মাকে পুজো দেওয়া।

আরোও পড়ুন : ভয় ধরাচ্ছে বঙ্গোপসাগরের জোড়া ঘূর্ণাবর্ত! বৃষ্টিতে ভিজবে দুই জেলা, কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া?

ওজন অনুসারে এখানে নানান দামের সোনার টিপও পাওয়া যায়। মানুষ নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত সোনার টিপ দিয়ে থাকে। মাকে নিবেদন করা এই সোনার টিপ গলিয়ে পরে গয়না তৈরি করা হয়। মাকে স্বর্ণ টিপ নিবেদন করার ফলে এই সময় এই অঞ্চলে সোনার টিপ বিক্রয় অনেক বেড়ে যায়, তাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা লাভবান হয় খুব।

fb img 1700555746401

পাশাপাশি, এখানে মহাপ্রসাদ অর্থাৎ মায়ের ভোগের বিশেষ গুরুত্ব আছে। কথিত আছে, বুড়িমার প্রসাদ মুখে দিলে মনস্কামনা পূরণ হয়। দেবীর ভোগ পাওয়ার জন্যও ভক্তদের মধ্যে উৎসাহ থাকে চোখে পড়ার মতো।  পুজোর পর মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। প্রায় ৫০ কুইন্টাল চাল, ২ কুইন্টাল দারচিনি, ১৩ কুইন্টাল ঘি, এলাচ, কাজু, কিসমিস এই ভোগ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।