নেই কোন কালীমূর্তি! ভয়ে ভয়ে পুজো করতে যান পুরোহিত, ৫০০ বছরের এই রীতিতে আছে গভীর রহস্য

নেশনহান্ট ডেস্ক : চারিদিকে ঘন জঙ্গল। সারা বছর সেখানে পা রাখতেই ভয় পান হাজার হাজার মানুষ। অথচ কালীপুজোর পরের দিন সেখানে তিল ধরনের জায়গা থাকে না। গত ৫০০ বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি। আসলে কালী পুজোর পরের দিন গভীর জঙ্গলে দিনের আলো থাকতেই সেরে ফেলা হয় কাঁকসার রাজকুসুমের বনকালী মা’য়ের পুজো।

প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন রায় পরিবারের ওই পুজোতে বহু ভক্ত জাগ্রত মূর্তিহীন বনকালী’র কাছে মানত করেন। তাদের মনের ইচ্ছে পূরণ হতেই একের পর এক পাঁঠা বলি দেওয়া হয় গভীর জঙ্গলে প্রতিবছরেই। রায় পরিবারের দাবি, জাগ্রত এই কালী পুজোতে অংশগ্রহণ করতে ইদানিংকালে ভিড় করেন বর্ধমান সহ দুর্গাপুর শহরের ভক্তরা।

আরোও পড়ুন : মহিলাদের এবার সোনায় সোহাগা! রাজ্যে শুরু হল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ, দেরি করলেই মিস

কে এই বনকালীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কোন ধারণা পাওয়া যায় না। কত সাল থেকে পুজো শুরু হয়েছিল সেই কথাটিও অজানা। বনকালীর পুজোর সঙ্গে গোপালপুরের ভট্টাচার্য পরিবারের যোগ আছে। স্থানীয়দের কথায়, কালীপুজোর পরের দিন রাজকুসুমের রায় পরিবারের তরফ থেকে পুজো যায় গোপালপুরের ভট্টাচার্য পরিবারে। 

আরোও পড়ুন : চিরচেনা দীঘা, পুরী ছেড়ে পা রাখুন এই বিচে! অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গেই মিলবে নৈসর্গিক সৌন্দর্য

গোপালপুরের দেবী বড়কালীর পুজো হলেই তারপর শুরু হয় রাজকুসুমের বনকালীর আরাধনা। ঘন জঙ্গলের মধ্যে শাল গাছের নিচে শুধুমাত্র বারিঘট রেখে বনকালীর পুজো হয়। রায় পরিবারের সদস্য বিদ্যুৎ রায় বলেন, রায় পরিবারের বনকালীর পুজো একদিনের। বলা ভাল একবেলার। ভীষণ ধুমধাম করে হয় এই পুজো।

c 2

এখন যেখানে বনকালী দেবীর পুজো হয়, সেখানে কেউ যেতে সাহস পেতেন না সহজে। যদিও এখনও শেয়াল, নেকড়ে, হেরোল, হায়না ও বীষধর সাপ রয়েছে। ভট্টাচার্য পরিবার থেকেই পুরোহিত ভয়ে ভয়ে পুজো করতে যেতেন। তখন তিনি দেবীর স্বপ্নাদেশ পেলে ভট্টাচার্য পরিবারে শুরু হয় বড় কালীর পুজো। আর বনকালীর পুজো হয় কালীপুজোর পরদিন।