নেশন হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে পরিবর্তন ঘটছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই। সেই রেশ পরিলক্ষিত হয়েছে চাষাবাদের (Agriculture) ক্ষেত্রেও। এখনকার দিনে গতানুগতিকভাবে চাষাবাদের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে বিভিন্ন নিত্যনতুন কৃষিকাজের প্রতি মনোনিবেশ করছেন অনেকেই। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও এইভাবে চাষাবাদের মাধ্যমে বিপুলভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। আর সেই কারণেই এহেন বিষয়গুলি আকৃষ্ট করছে প্রত্যেককে।
এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি ড্রাগন ফলের উৎপাদন করার পাশাপাশি একইসঙ্গে করছেন দেশি মুরগির প্রতিপালন। জেনে অবাক হবেন যে, ড্রাগন ফল চাষে প্রত্যক্ষভাবে তিনি কাজে লাগাচ্ছেন দেশি মুরগিকে। হ্যাঁ প্রথমে বিষয়টি জেনে কিছুটা চমকে গেলেও এইভাবে চাষ করেই তাক লাগিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক যুবক।
আরও পড়ুন: দীপাবলির আগেই মিলল সুখবর! PF অ্যাকাউন্টধারীরা পেলেন দুর্দান্ত উপহার, সামনে এল বড় আপডেট
ইতিমধ্যেই ড্রাগন ফলের চাষের পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে ফার্ম করে দেশি মুরগির প্রতিপালন শুরু করে ওই যুবক দ্বিগুণ লাভের মুখোমুখি হচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন। তবে, এবার প্রশ্ন উঠতে পারে যে, ড্রাগন ফল চাষে কিভাবে দেশি মুরগি সাহায্য করছে? সামনে এসেছে সেই উত্তরও। মূলত, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার গোগ্রামের সুব্রত মাহেশ জানিয়েছেন যে, ড্রাগন ফলের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান শত্রু হল পিঁপড়ে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চাষ। এদিকে, সেই পিঁপড়েদেরকেই খাবার হিসেবে খেয়ে নেয় মুরগি।
আরও পড়ুন: এবার উড়বে ট্যাক্সি, ১.৫ ঘণ্টার সফর শেষ হবে ৭ মিনিটে! ভারতে কবে থেকে শুরু পরিষেবা?
শুধু তাই নয়, চাষের পর ড্রাগন ফলের গাছ বড় হলে তার নিচে অন্য কিছু চাষ করা যায় না। কারণ, ওই গাছের নিচে ঝোপঝাড় তৈরি হয়। যার ফলে নানান পোকামাকড় সেখানে জড়ো হতে শুরু করে। এমতাবস্থায়, দেশি মুরগি পোকামাকড় খেয়ে নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে ওই চাষে সুবিধা প্রদান করে। পাশাপাশি, এইভাবে একইসাথে মুরগি প্রতিপালন এবং ড্রাগন চাষের মাধ্যমে সুব্রত দ্বিগুণ আর্থিক লাভও পাচ্ছেন।
বর্তমানে তিনি বেশ কয়েক ডেসিমেল জায়গা জুড়ে ড্রাগন ফলের চাষের পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে ফার্ম তৈরির মাধ্যমে করছেন দেশি মুরগির পালন। সুব্রত প্রায় ৩৫০-রও বেশি মুরগি প্রতিপালন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। আর এইভাবেই অভিনব চাষের মাধ্যমে লাভবান হওয়ার নতুন দিশা দেখাচ্ছেন সুব্রত।