নেশনহান্ট ডেস্ক: জল অপচয় রীতিমত একটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা পুরসভার কাছে। জলের অপচয় রুখতে পুরসভার পক্ষ থেকে কয়েক বছর আগে বাড়িতে বাড়িতে মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে পুরসভার ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। মিটার বসানোর পর মিলেছে ইতিবাচক ফল।
পুরসভা দাবি করছে মিটার বসানোর পর ওই ওয়ার্ডগুলোতে রোখা গেছে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত জলের অপচয়। এমন অবস্থায় কলকাতা শহরে জল অপচয় রুখতে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে নেওয়া হল নয়া সিদ্ধান্ত। এবার থেকে নতুন জলের সংযোগ নিলে বাধ্যতামূলকভাবে বসাতে হবে মিটার। পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই ব্যাপারে জানিয়েছেন।
তবে সাধারণ মানুষের আশঙ্কা মিরার বসালেই দিতে হবে জলকর। ফিরহাদ হাকিম সেই আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়ে স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, “জলের অপচয় বন্ধ করাই কলকাতা পুরসভার প্রধান লক্ষ্য। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।” মেয়র আশ্বস্ত করে সবাইকে বলেছেন জলকর নেওয়া বা জল অপচয় হলে জরিমানা নেওয়া তাদের উদ্দেশ্য নয়।
আরোও পড়ুন : ট্রাকের পিছনে কেন বড়ো করে “Horn OK Please” লেখা হয়? জানুন, নেপথ্যের আসল কারণ
মেয়রের কথায় প্রত্যেক নাগরিককে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য। প্রতিটি এলাকায় জল অপচয় রুখতে বাড়তি নজরদারি চালাবে পুরসভা। কলকাতা পুরসভা ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাশীপুর থেকে বেলগাছিয়া অঞ্চল পর্যন্ত জল অপচয়ের পরিমাণ জানতে ২০১৭ সালে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বাড়ি বাড়ি মিটার বসানো হয়।
আরোও পড়ুন : এবার ভারতেই হবে নায়াগ্রা দর্শন! অবাক লাগছে? চলে যান এই জায়গায়, মনে হবে ‘আহা! কী দেখিলাম’
জানা গেছে বাড়িতে বাড়িতে জলের মিটার বসানোর ফলে আটকানো গেছে বাহান্ন শতাংশ জল অপচয়। পুরসভার সূত্রে খবর, আগে ওই ছটি ওয়ার্ডে টালা প্রকল্পের ১৮ মিলিয়ন গ্যালন জল দেওয়া করা হত। এরমধ্যে নয় মিলিয়ন গ্যালন জল নষ্ট হত। এত পরিমাণ জল কেন নষ্ট হচ্ছে সেই পর্যবেক্ষণ করতে যান পুরসভার আধিকারিকরা।
তারা সেখানে গিয়ে দেখেন বহু বাড়ির জলের ট্যাংকে রয়েছে ফাটল। ওই এলাকার পাইপলাইনগুলি ব্রিটিশ আমলের। ফাটল ধরেছিল ওই পাইপ গুলিতেও। এরপর পাতা হয় নতুন পাইপ লাইন। এখন হিসাব বলছে বর্তমানে নষ্ট হয় মাত্র ২ মিলিয়ন গ্যালন জল। তবে, এই নতুন সিদ্ধাতের ফলে আমজনতার লাভ হয় কতটা সেটাই এখন দেখার বিষয়।