নেশন হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India) বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। এই প্রসঙ্গে RBI গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das) বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যে, মনিটারি পলিসি কমিটির (MPC) অবস্থান হল অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে সমর্থন করা এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা।
ইতিমধ্যেই সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির হার ২ শতাংশের ওপর-নিচ সহ ৪ শতাংশে রাখার দায়িত্ব দিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, RBI গভর্নর টোকিওতে একটি সেমিনারে RBI-এর আর্থিক প্রযুক্তি (ফিন টেক) পরিবেশের কথা উল্লেখ করে জানান যে, এটি গ্রাহক কেন্দ্রিক অবস্থায় রয়েছে।
খুচরো মুদ্রাস্ফীতি আনুমানিক ৫.৪ শতাংশ: তথ্য অনুসারে, গভর্নর জানিয়েছেন যে, মনিটারি পলিসি কমিটি অক্টোবরের বৈঠকে ২০২৩-২৪-এর জন্য খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৪ শতাংশ অনুমান করেছে। যা ২০২২-২৩-এর ৬.৭ শতাংশের চেয়ে কম। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি গত সেপ্টেম্বরে তিন মাসের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। এদিকে, অক্টোবর মাসের মুদ্রাস্ফীতির তথ্য আগামী ১৩ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: অপ্রতিরোধ্য ভারত! এই পরিসংখ্যানে চিনকে টেক্কা দিল দেশ, জানলে গর্বে ভরে উঠবে বুক
দাম কমানোর জন্য কাজ করছে: গভর্নর (শক্তিকান্ত দাস) বলেছেন যে, “আমরা দাম কমানোর জন্য কাজ করছি।” মনিটারি পলিসি কমিটি অক্টোবরে তার দ্বি-মাসিক মুদ্রানীতি পর্যালোচনায় মূল পলিসি রেপো রেট ৬.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখে। এক্ষেত্রে টানা চতুর্থবার রেপোর হারে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। এদিকে, পরবর্তী MPC সভা ডিসেম্বরের শুরুতে হওয়ার কথা রয়েছে। দাস আরও বলেন যে, ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) ভারতে ফিনটেক বিপ্লবে অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, এর সাফল্যের গল্প সত্যিই একটি আন্তর্জাতিক মডেল হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: স্পেশাল গিফট! নীতা আম্বানিকে দেশের সবচেয়ে দামি SUV উপহার দিলেন মুকেশ, দাম জানলে চমকে উঠবেন
অর্থনীতির পারফরম্যান্স: ভারতীয় অর্থনীতির পারফরম্যান্স সম্পর্কে শক্তিকান্ত দাস বলেন, এটি একটি সন্তুষ্টির বিষয় যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ওঠানামার পরিস্থিতিতেও এটি মসৃণভাবে এগিয়েছে। নীতিগত ব্যবস্থা বৃদ্ধির গতি ও শক্তি জোগাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে আসছে। চিন্তাশীল ব্যবস্থা এবং উপযুক্ত আর্থিক ও রাজস্ব নীতির ভিত্তিতে মহামারীর সময় থেকে অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা আরও ভালো হয়েছে।