রাতারাতি কালী হয়ে গেছিলেন জগন্নাথ! নিজেই খসিয়ে ফেলেছিলেন নিজের হাত, কিন্তু কেন ?

নেশনহান্ট ডেস্ক: বিগত বেশ কিছু বছর ধরে অত্যন্ত ধুমধামের সাথে কালীপুজো হয়ে আসছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বানপুর সীমান্তের চ্যাটার্জী পরিবারে। এই পরিবারের পুজোর সাথে জড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ইতিহাস। এই চট্টোপাধ্যায় পরিবার বাংলাদেশ থেকে ১৯৬৬ সালে আসে ভারতে। তৎকালীন পরিবারের কর্তা বীরেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায় দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে কালী মূর্তি গড়েন।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ছিলেন বীরেন্দ্র কুমার চট্টোপাধ্যায়। বাংলাদেশে তাঁর বাড়িতে প্রতিদিন পুজো হত। কিন্তু যখন চট্টোপাধ্যায় পরিবার এদেশে আসেন তখন সব দেবদেবীর মূর্তি নিয়ে আসা সম্ভব ছিল না। চট্টোপাধ্যায় পরিবার ভারতে নিয়ে আসেন শালগ্রাম শিলা, শিবলিঙ্গ, রাধাকৃষ্ণ ও গোপালের মূর্তি। নদীয়ার বাড়িতেই চট্টোপাধ্যায় পরিবার ঈশ্বরের সেবা করতেন।

আরোও পড়ুন : জীবনেও যান নি কলেজে, আজ তিনিই IAS! অবাক হচ্ছেন? এ যেন এক রূপকথার গল্প

এরপর একদিন দেবী বীরেন্দ্র কুমার চট্টোপাধ্যায়কে স্বপ্নে বলেন, আমার সেবা করবি না? এরপর বীরেন্দ্র কুমার চট্টোপাধ্যায় মা কালীর পুজো শুরু করেন। বহু বছর ধরেই এই বাড়িতে পুজো হয়ে আসছে। বীরেন্দ্রকুমারের প্রপৌত্র এখন মায়ের আরাধনা করছেন। এই পরিবারে জগন্নাথ দেবের পুজো নিয়ে রয়েছে একটি অলৌকিক ঘটনা।

আরোও পড়ুন : ডাকাতদের সাথে মা কালীর কী সম্পর্ক? এই বাংলারই কয়েকটি মন্দিরকে ঘিরে আছে হাড়হিম করা ইতিহাস

একবার এক জগন্নাথ মন্দিরের পুরোহিত কিছুদিনের জন্য বীরেন্দ্র কুমার চট্টোপাধ্যায় এর বাড়ির মন্দিরে রাখতে চেয়েছিলেন জগন্নাথ দেবকে। কিন্তু বীরেন্দ্র বাবু তাতে রাজি হননি। তারপরের দিন সকালে দেখা যায় মা কালীর চারটি হাত খসে পড়ে রয়েছে মাটিতে। পরিবারের সবাই বুঝতে পারেন যে বীরেন্দ্র বাবুর সিদ্ধান্তে মা কালী রুষ্ট হয়েছেন।

446234 jag kali 3

এরপর বীরেন্দ্র বাবু তাঁর মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন জগন্নাথ দেবকে। এই পরিবারের পুজোয় মা কালীকে নিরামিষভোগ দেওয়া হয়ে থাকে। অন্যান্য কালীপুজোয় যেমন বলিপ্রথা আছে, আমিষভোগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে, চট্টোপাধ্যায় পরিবারে কিন্তু সেই নিয়ম অনুসরণ করা হয় না। সমস্ত দেবদেবীর একই সঙ্গে নিত্যসেবা ও পুজো চলে এখানে।