সহজেই হবে বিদেশ ভ্রমণ, পশ্চিমবঙ্গের এই স্টেশন থেকে যাওয়া যাবে ভুটান! বড় পদক্ষেপ রেলের

নেশন হান্ট ডেস্ক: বিদেশে ঘুরতে যেতে কে না পছন্দ করেন? অনেকের স্বপ্নও থাকে বিদেশে বেড়াতে যাওয়া। যদিও, ভ্রমণের বিপুল খরচের কারণে অধিকাংশ জনেরই এই ইচ্ছে মনের ভেতরে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। তবে, এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। যেটির মাধ্যমে আপনি রেলপথেই (Indian Railways) পৌঁছে যেতে পারেন সরাসরি বিদেশে। প্রথমে শুনে অবাক হয়ে গেলেও সত্যি এটা কিন্তু একদমই সত্যি।

মূলত, উৎসবের মরশুমে রেলযাত্রীদের জন্য এক দুর্দান্ত সুখবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় রেলের তরফে শীঘ্রই ভারত ও ভুটানের (Bhutan) মধ্যে আন্তর্জাতিক ট্রেন পরিষেবা শুরু করা হবে। পাশাপাশি, এটাও জানা গিয়েছে যে, এই পরিষেবা ভারতের আসাম থেকে পরিচালিত হবে এবং এর মূল লক্ষ্য হবে দুই দেশের মধ্যে পর্যটনের সার্বিক উন্নতি ঘটানো।

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সম্পন্ন হয়। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে উভয় দেশই আসামের কোকরাঝার থেকে ভুটানের গেলফুকে সংযুক্ত করার জন্য আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে।

আরও পড়ুন: এই ব্যবসা থেকে সরে আসার পরিকল্পনা টাটা গ্রুপের! বিক্রির পথে জনপ্রিয় কোম্পানি

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করে এই বিষয়টি উপস্থাপিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “ভুটানের রাজা, জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুককে ভারতে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। অনন্য এবং অনুকরণীয় ভারত-ভুটান সম্পর্কের একাধিক দিকের প্রসঙ্গে আমরা অত্যন্ত উষ্ণ এবং ইতিবাচক আলোচনা করেছি।”

আরও পড়ুন: যানজটের সমস্যা দূর করতে নয়া পদক্ষেপ, “দ্বিতল” হচ্ছে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, শুরু হল কাজ

পাশাপাশি, ভারত ও ভুটানের যৌথ বিবৃতি অনুসারে জানানো হয়েছে উভয় পক্ষই বাণিজ্য, প্রযুক্তি, আন্তঃসীমান্ত সংযোগে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও প্রসারিত করার বিষয়ে সম্মতি দান করেছে। আর সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভারত ও ভুটানের মধ্যে রেল পরিষেবা। এমতাবস্থায়, সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, উভয়পক্ষই পশ্চিমবঙ্গের বানরহাট এবং ভুটানের সামতসের মধ্যে রেল-সংযোগ স্থাপনের বিষয়টির ক্ষেত্রে বিবেচনা করছে বলে জানা গিয়েছে।

যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, ভারত সরকার GyalSung প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আর্থিক সংস্থানের জন্য ভুটানের অনুরোধকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে। এদিকে, জল্পনা শুরু হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটির রেল রুটকে বাংলাদেশের ও ভুটানের বাণিজ্যের জন্য একটি অতিরিক্ত বাণিজ্যিক রুট হিসাবে বিবেচিত করা হবে।