যানজটের সমস্যা দূর করতে নয়া পদক্ষেপ, “দ্বিতল” হচ্ছে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, শুরু হল কাজ

নেশন হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে যানজটের (Traffic Jam) সমস্যা। বড় বড় শহরগুলিতে এটি একটি চিন্তার বিষয় হয়েও দাঁড়াচ্ছে। এমতাবস্থায়, কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে (Kona Expressway) ক্রমবর্ধমান যানজটের পরিস্থিতিকে সামাল দিতে এবার শুরু হল বড় কাজ। মূলত, যানজট এড়াতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের “দ্বিতল” হওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা আগেই গৃহীত হয়েছিল। সেই পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত হয়ে গত শনিবার থেকে শুরু হল এই কাজ।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এক্ষেত্রে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের নিবড়া সংলগ্ন খেজুরতলা থেকে একদম দ্বিতীয় হুগলি সেতু পর্যন্ত মোট ৭.২ কিমি অংশে নির্মিত হবে একটি উড়ালপুল। যেটি চলে যাবে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে। অর্থাৎ সাধারণভাবে বলতে গেলে, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে এবার “দ্বিতল” হতে চলেছে। যার ফলে যানজট কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যাসাগর সেতুর অভিমুখে যান চলাচলে আরও সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Work has begun on the Kona Expressway

এর পাশাপাশি, ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কলকাতার দিকে আসা গাড়িগুলি এই উড়ালপুলের মাধ্যমে সরাসরি বিদ্যাসাগর সেতুতে নামতে পারবে। এদিকে এই কর্মকাণ্ডের জন্য একদম প্রথম পর্যায়ে কর্তৃপক্ষের তরফে সাঁতরাগাছি স্টেশন সংলগ্ন এলাকার কিছু দখলদারদের হটানোর কাজ শুরু করা হয়। যদিও, ২ টি জায়গায় কাজ থমকে যাওয়ার কারণে গত শুক্রবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সম্পন্ন হয় নবান্নে।

আরও পড়ুন: ভারতেও ঝড় তুলবে Tesla! মাস্কের সংস্থাকে দেশে আনতে প্রস্তুতি শুরু সরকারের, কবে মিলবে মঞ্জুরি?

যার পরিপ্রেক্ষিতে, গত শনিবার সমস্যাজনক জায়গাগুলি খতিয়ে দেখতে আসেন এই কাজের বরাত পাওয়া সংস্থা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড সহ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং হাওড়া পুলিশের আধিকারিকরা। এমতাবস্থায়, প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে যে ওই ২ টি জায়গার বিষয় ইতিমধ্যেই সমাধান সূত্র বেরিয়ে এসেছে। যার ফলে এবার এই কাজ দ্রুত শুরু হবে।

আরও পড়ুন: আম্বানির অ্যান্টিলিয়াকে তো সবাই চেনেন! চমকে দেবে আদানির বাড়িও, দাম জানলে হয়ে যাবেন অবাক

জানা গিয়েছে যে, সমস্ত দখলদারকে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি এই দিন, ওই প্রস্তাবিত উড়ালপুলের খেজুরতলা থেকে প্রথম পাঁচ কিলোমিটারের পর্যবেক্ষণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বাকি যে অংশটি রয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা হবে আর কয়েক দিনের মধ্যেই। এছাড়াও, সাঁতরাগাছি থেকে ক্যারি রোড হয়ে নবান্ন পর্যন্ত যে অংশটি রয়েছে সেটির ও পর্যবেক্ষণ শুরু হতে পারে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসে সহজে যাতায়াতের জন্য যে ফ্লাইওভার এর কাজ দীর্ঘদিন থমকে ছিল সেটিও শুরু হয়েছে।