নেশন হান্ট ডেস্ক: বড়সড় সঙ্কটের সম্মুখীন চিন (China)। জানা গিয়েছে, সেদেশে বিদেশি ব্যবসা ক্রমবর্ধমানভাবে অর্থ তুলে নিচ্ছে এবং সেখানে বিনিয়োগ কমিয়ে দিচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যানকে উদ্ধৃত করে গত মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে এই বিষয়টি উপস্থাপিত করা হয়েছে। বিবিসির রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশটির মন্থর অর্থনীতি, নিম্ন সুদের হার এবং আমেরিকার সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ওই দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে।
এদিকে, চলতি সপ্তাহে সবার চোখ থাকবে চিন ও আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের দিকে। এই প্রসঙ্গে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) নিক ম্যারো জানিয়েছেন, ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি, দেশীয় নীতির অনিশ্চয়তা এবং ধীর বৃদ্ধির উদ্বেগ কোম্পানিগুলিকে বিকল্প বাজারের কথা ভাবতে বাধ্য করছে। বিবিসির রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে তিন মাসে চিনে বৈদেশিক বিনিয়োগে ১১.৮ বিলিয়ন ডলারের পতন হয়েছে। এটা থেকে স্পষ্ট, বিদেশি কোম্পানিগুলি তাদের মুনাফা আর চিনে বিনিয়োগ করছে না। বরং তারা অর্থ দেশের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে সুইস শিল্প যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক ওয়েরলিকনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, চিন বর্তমানে আর্থিকভাবে ধীর গতির মুখোমুখি হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে দেশটির উন্নতি করতে হবে। তিনি আরও বলেন “২০২২ সালে, আমরাই প্রথম কোম্পানি ছিলাম যারা বলেছিল যে চিনের অর্থনৈতিক মন্দা আমাদের ব্যবসাকে প্রভাবিত করবে। ফলস্বরূপ, আমরা এই প্রভাবগুলি হ্রাস করার জন্য পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়ন শুরু করেছি।”
আরও পড়ুন: ছেলের শ্রাদ্ধের দিনেও দেখলেন রোগী! কর্তব্যে অবিচল থেকে নজির গড়লেন নবতিপর “বিশুবাবু”
ওই কোম্পানিটির জন্য চিন একটি প্রধান বাজার হিসেবে রয়েছে। সারা দেশে তাদের প্রায় ২,০০০ কর্মীও রয়েছে। যা সংস্থার মোট বিক্রয়ের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি। এদিকে, বিবিসি জানিয়েছে, আগামী কয়েক বছরে চিনা অর্থনীতি এখনও প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা, টাকা কামানোর জন্য দুর্দান্ত সুযোগ দিচ্ছে Tata, এভাবে হয়ে যান লাখপতি
উল্লেখ্য যে,করোনার মতো ভয়াবহ মহামারীর শুরুর পর থেকে, ওয়েরলিকনের মতো ব্যবসাগুলি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। চিন তার “জিরো-কোভিড” নীতির মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর মহামারী লকডাউন বাস্তবায়ন করে। যার ফলে Apple-এর মতো একাধিক কোম্পানির সাপ্লাই চেনে বিঘ্ন ঘটেছে। তারপর থেকেই Apple ভারতে উৎপাদনের কিছু অংশ স্থানান্তর করে তার সাপ্লাই চেইনকে বৈচিত্র্যময় করেছে।