নেশনহান্ট ডেস্ক : বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করে করা যাবে না হাড়ের অস্ত্রোপচার। হাড়ের যে কোনও সমস্যায় এবার অস্ত্রোপচার করতে হলে শরণাপন্ন হতে হবে সরকারি হাসপাতালের। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে এই নির্দেশিকা বলবৎ হবে না পথ দুর্ঘটনায় আহতদের হাড়ের অস্ত্রোপচারের ব্যাপারে।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার স্বাক্ষর করা নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তবে এই নির্দেশিকায় ছাড় সংক্রান্ত বিষয়েও বলা হয়েছে। যদি সরকারি হাসপাতালে অর্থোপেডিক চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব থাকে, তাহলে রোগীকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা যাবে।
আরোও পড়ুন : হু হু করে ঢুকছে জলীয় বাষ্প, দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া নিয়ে বড় আপডেট! বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ
সেক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালে নির্দিষ্টভাবে রেফারাল সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু কেন নেওয়া হল এই ধরনের সিদ্ধান্ত? রাজ্য সরকার দাবি করছে রাজ্যের সব জেলা এবং মহকুমা হাসপাতালেই অর্থপেডিক অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো বেশ উন্নত হয়েছে গত কয়েক বছরে। সরকারি হাসপাতালের উপরেই ভরসা করছেন আমজনতা।
আরোও পড়ুন : বাংলার এই ব্যাঙ্কের উপর নেমে এল RBI-র শাস্তির খাঁড়া! আপনার অ্যাকাউন্ট আছে?
এর ফলে রাজ্য সরকারের ধারণা হাড়ের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেসরকারি নয়, সরকারি হাসপাতালেই ভরসা রাখা উচিত। এছাড়াও এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার ও দুর্নীতি রোধ সম্ভব হবে।একটি সরকারি সূত্র মারফত চমকে দেওয়া তথ্য সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাসে মুর্শিদাবাদ ও মালদার বেশ কিছু সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের রোগীদের রেফার করার ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল কয়েকগুণ। তাই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালে পরিকল্পিত অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে সবাইকে। এই বিষয়টি নজরে আসতে নড়েচড়ে বসে নবান্ন।