নেশনহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। কয়েকটা দিনের ছুটি পেলেই আমরা ঘুরতে বেরিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করি। তবে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলি আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত হয়ে উঠেছে। বলা ভালো সেই জায়গাগুলি আমাদের আত্মার সাথে মিশে গেছে। যেমন ধরা যাক সমুদ্রের কথা মনে আসলেই আমরা চলে যাই দীঘা।
আবার পাহাড়ের কথা মাথায় আসলে আমরা পাড়ি জমাই দার্জিলিং কিংবা কালিংপংয়ে। কিন্তু এইসব জায়গায় গিয়ে গিয়ে অনেকেই ক্লান্ত। এখন অনেক পর্যটক বিভিন্ন অফবিট জায়গার সন্ধানে রয়েছেন। অফ বিট জায়গাগুলি যেমন অচেনা, তেমনই এখানে পর্যটকের সংখ্যাও কম। শহরের জন অরণ্য ছেড়ে তাই কয়েকটা দিন নিশ্চিন্তে ছুটি কাটানো যায় এই জায়গাগুলিতে।
আরোও পড়ুন : চাকরির সুযোগ এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে! মাধ্যমিক পাশেই হবে আবেদন, রয়েছে প্রচুর শূন্যপদ
আজ আমরা আপনাদের এমন একটি পাহাড়ি গ্রামের সন্ধান দেব যেটি পর্যটন মানচিত্রে খুঁজে পাবেন না। কালিম্পংয়ে কিছু নেপালি পরিবারকে নিয়ে গড়ে উঠেছে পাহাড়ি গ্রাম সামথার। মাত্র আড়াই ঘন্টার দূরত্ব শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পংয়ে। সেখানেই পাহাড়ের গায়ে গড়ে উঠেছে ছোট্ট একটি গ্রাম। এটি একটি নির্জন শান্ত পাহাড়ি লেক।
আরোও পড়ুন : এবার হবে আসল ধামাকা! SBI’র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন আম্বানি, বিরাট লাভের মুখ দেখবেন গ্রাহকরা
লেকের উপর রয়েছে সুবিস্তৃত নীল আকাশ। সেই আকাশের বুকে সদা জাগ্রত তুষারশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। লেকের জলে এসে পড়ে পাহাড় ও গাছের ছায়া। এই দৃশ্যগুলো প্রত্যক্ষ করলে আপনার মনে হবে যেন কোনও নিপুন শিল্পী নিজের হাতে তার শিল্পকর্ম এঁকে দিয়েছেন। এখান থেকে পর্যটকেরা কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব দৃশ্য অনুভব করতে পারবেন।
কালিঝোরা ড্যামের উপর দিয়ে যেতে হবে সামথার। তবে বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন হয় এই রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে। তবে অসুবিধা হবে না আগে থেকে হোম স্টে বুক করা থাকলে। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে পড়বে পানবু গ্রাম, পানবু ভিউ পয়েন্ট, ইয়াং মাকুম, তারপর আসবে সামথার। ২৭ মাইল ড্যামের ওপর দিয়েও আপনারা এই পাহাড়ি গ্রামে আসতে পারেন।
আপনারা চাইলে এখান থেকেই ঘুরে আসতে পারবেন কালিম্পং এর আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলিও।আম্মিহুড হোমস্টে সামথারে প্রতিদিন জনপ্রতি ১৭০০ টাকা লাগবে থাকা-খাওয়ার জন্য। একদিনের জন্য সাইটসিইং করতে পারেন পানবু ভিউ পয়েন্ট, রাই দারা, সিনজিতে বুদ্ধ টপ আর হনুমান টক, পাবং, চারখোল, যুগে ফলস, পেমলিং-এ।